ঢাকা, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪ | ২১ আষাঢ় ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ত্রাণবঞ্চনার কারণ প্রচার ঘাটতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৬, ২০২০

পর্যাপ্ত প্রচারের অভাবে করোনা মহামারী ও বন্যায় বরাদ্দ সরকারি সহায়তা কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রকৃত ভুক্তভোগীদের কাছে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি।

গতকাল মঙ্গলবার ভার্চুয়াল সংলাপে এ তথ্য তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির গবেষক দলের প্রধান মোস্তফা আমির সাব্বিহ। সম্প্রতি সিপিডি ও অক্সফামের উদ্যোগে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ত্রাণ ও নগদ সহায়তার জন্য তালিকাভুক্ত সুবিবধাভোগীদের টেলিফোন সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এই জরিপের প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। 

সিপিডির জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার কারণে এক কোটি ৩০ লাখ মানুষ বেকারত্বের ঝুঁকিতে রয়েছেন, যা মোট শ্রমশক্তির ২১ শতাংশ। এর মধ্যে সাম্প্রতিক বন্যায় (১২-২১ জুলাই) রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও গাইবান্ধায় স্থলভাগের ২৯ শতাংশ তলিয়ে গেছে। এই প্রেক্ষাপটেই সরকার বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা, নগদ সহায়তার মতো কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অনেকে সময় ত্রাণের আড়াই হাজার টাকার জন্য এসএমএস আসলেও পরে টাকা আসেনি। যাদের টাকা আসেনি তারা যোগাযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি। অনেক ক্ষেত্রে অধিক অভাবী ও অতিদরিদ্র মানুষকে বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত সচ্ছল মানুষকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে।

সংলাপে সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘কোন প্রক্রিয়ায় কাদের ত্রাণ দেওয়া হবে তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো প্রচারণা মাঠে ছিল না। সে কারণেই অনেকে বঞ্চিত হয়েছে। আবার ত্রাণ বিতরণ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝিরও সৃষ্টি হয়েছে। অথচ ত্রাণ বিতরণ প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যাপক প্রচারণার কথা থাকলেও সরকারি কোনো সংস্থা তা করেনি।’

সংলাপে এ অভিযোগের সত্যতা চ্যালেঞ্জ করেন উপস্থিত কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তা। তবে অনিয়মের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি এনজিও কর্মীরা।

কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উলফৎ আরা বেগম জানান, ত্রাণ কিংবা অন্য কোনো তৎপরতা নিয়ে কোনো এনজিওকর্মী তার কাছে আসেননি। তাদের মাঠেও দেখা যায়নি। কাউনিয়ায় একমাত্র আশা এনজিও দুইশ প্যাকেট, আর অক্সফাম দুইশ মাস্ক ও এক হাজার করে টাকা ত্রাণ দিয়েছে।

রেনু বালা নামের একজন এনজিওকর্মী অভিযোগ করেন, ত্রাণ দেওয়ার আগে ৯০০ ব্যক্তির কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়েছে। কিন্তু তাদের অর্ধেক মানুষও সহায়তা পাননি।

 
Electronic Paper