ঢাকা, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৩ ভাদ্র ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জলাবদ্ধতা নিরসনে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে একসাথে কাজ করার আহ্বান ডিএনসিসির

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
🕐 ৮:৪৮ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৭, ২০২৪

জলাবদ্ধতা নিরসনে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে একসাথে কাজ করার আহ্বান ডিএনসিসির

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেছেন, বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয় না হলে শুধু সিটি কর্পোরেশনের কর্মীদের পক্ষে দ্রুত সময়ে ভারী বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা দূর করা কঠিন কাজ। আর তাই জলাবদ্ধতা নিরসনে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাকে ডিএনসিসির সাথে সমন্বয় করে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) অনলাইনে আয়োজিত এক সমন্বয় সভায় তিনি এই আহ্বান জানান।

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় অংশ নেন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প, বাংলাদেশ রেলওয়ে, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, গণপূর্ত অধিদপ্তর, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের প্রতিনিধিরা।

তিনি বলেন, বিমানবন্দর রেলওয়ের পূর্ব পাশের জলাধার ভরাট করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে বিমানবন্দর, উত্তরা ও দক্ষিণখান এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। অতএব এই গুরুত্বপূর্ণ জলাধারটি সংরক্ষণ করা আবশ্যক। এটি ভরাট করলে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা তীব্র আকার ধারণ করবে।

বিমানবন্দর রেল স্টেশন সংলগ্ন জলাধার সংরক্ষণ করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে প্রকল্প বাস্তবায়নের আহ্বান জানান তিনি।

মীর খায়রুল আলম বলেন, বিআরটি প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলাকালে এয়ারপোর্ট রোডে অপর্যাপ্ত সাইড ড্রেন নির্মাণ ও বিদ্যমান নেটওয়ার্ক সম্পন্ন না হওয়ায় জলাবদ্ধতা বেড়েছে। এই এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে আমরা ইতোমধ্যে অনুরোধ জানিয়েছি। এটি দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি।

তিনি আরও বলেন, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কাওলা ক্রস কালভার্টের উত্তর পাশে সিভিল এভিয়েশন খালের উভয়পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে খালের প্রশস্ততা পূর্বের তুলনায় অনেকটা কমে গেছে। এছাড়া ওয়াকওয়ের পাশে স্তূপাকৃত মাটি জমে খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। খালের প্রশস্ততা ঠিক রেখে নির্মাণ কাজ করার জন্য সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে আহ্বান করছি।

ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প কর্তৃক উন্নয়ন কাজ চলাকালীন সময়ে উত্তরাস্থ সেক্টর-২,৪,৬ ও ৮ এর পূর্ব পার্শ্বস্থ রেললাইন সংলগ্ন বিদ্যমান আরসিসি ড্রেন অক্ষত রাখা এবং এই আরসিসি ড্রেনের পূর্ব পার্শ্বে বৃহৎ ব্যাসের পাইপ লাইন স্থাপনের বিষয়ে তাদের আহ্বান জানানো হয়েছে বলেও জানান ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

খায়রুল আলম বলেন, সকল সংস্থা কর্তৃক গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতেই হবে। শহরের জন্য এগুলো প্রয়োজন। কিন্তু শহরের পরিবেশ ঠিক রেখে, জলাবদ্ধতা যেন সৃষ্টি না হয় সেটি নিশ্চিত করে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয় না হলে শুধু সিটি কর্পোরেশনের কর্মীদের পক্ষে দ্রুত সময়ে ভারী বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা দূর করা কঠিন।

সভায় অন্যান্যের সঙ্গে আরও অংশ নেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ডিএনসিসির সকল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী প্রকৌশলীরা।

 
Electronic Paper