ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১ আশ্বিন ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদী মার্চ

ঢাবি প্রতিনিধি
🕐 ৬:৩৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৪

জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদী মার্চ

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গৃহীত কর্মসূচি শহীদী মার্চে ছাত্র-জনতার ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও সাধারণ জনতার উপস্থিতে জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজিত শহীদী মিছিলটি।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে জড়ো হয় ঢাকার নানা স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ সাধারণ জনগণ। পরে বিকাল ৪টায় রাজু ভাস্কর্য থেকে প্রায় এক কিলোমিটারেরও বড় একটি মিছিল বের হয়।

ছাত্রজনতার এই বিশাল মিছিলটি নীলক্ষেত, সাইন্সল্যাব, ধানমন্ডি, আসাদগেট, সংসদ ভবন, ফার্মগেট, শাহবাগ অতিক্রম করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে এসে থামে। বড় মিছিলটি ছাড়াও বিচ্ছিন্ন ব্যানারে অনেকগুলো মিছিল বড় মিছিলটিকে অনুসরণ করে। এছাড়া কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনেই অবস্থান করে।

শহীদী মার্চে অংশগ্রহণকারী ছাত্রজনতা শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং খুনি শেখ হাসিনার বিচার দাবি করে। শহীদদের আদর্শ ধারণ করে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন অনেকে।

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ড. সাদিক বলেন, আমরা দীর্ঘ সময় পরে নতুন করে মত প্রকাশের স্বাধীনতা পেয়েছি। এই স্বাধীনতা যাদের জন্য পেয়েছি, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি।

জামেয়া মাদানীয়া বারিধারা মাদ্রাসা শহীদুল্লাহ্ মাহমুদ বলেন, আমরা চাই শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি নিশ্চিত করা হোক এবং যারা শহিদ হয়েছেন তাদেরকে রাষ্ট্রিয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক।

বরিশাল জেলা সাইবার দলের সাধারণ সম্পাদক মো. হেদায়াতুল্লাহ বলেন, আমরা শহীদদের ভুলিনি। শহীদদের স্মরণ করতে এবং তাদের শ্রদ্ধা জানাতে এখানে এসেছি।

মিছিলে শহিদদের স্মরণে ‘আমাদের শহীদেরা, আমাদের শক্তি’, ‘আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘এই যুদ্ধে জিতবে কারা, আমাদের শহীদেরা’, ‘শহীদের স্মরণে, ভয় করিনা মরণে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায় ছাত্রজনতার মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের।

অংশগ্রহণকারী অনেক শিক্ষার্থীর হাতে এবং মাথায় জাতীয় পতাকা দেখা যায়। মিছিলের মাঝখানে বাংলাদেশের ও ফিলিস্তিনের বড় দুইটি পতাকা দেখা যায়। পতাকার চারপাশ ধরে শিক্ষার্থীরা এগিয়ে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে জড়ো হয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে শেষ হয় আজকের ‘শহীদী মার্চ’ কর্মসূচি।

 
Electronic Paper