ঢাকা, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪ | ১৯ আশ্বিন ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

গজারিয়ায় এক মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
🕐 ৮:১৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ০৫, ২০২৪

গজারিয়ায় এক মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দিতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহিদুজ্জামান নইমুলের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গজারিয়া বালুয়াকান্দি মেঘনা ভিলেজ রিসোর্টে এ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷

এতে বক্তব্য রাখেন বিএলএফ তথা মুজিববাহিনীর মুক্তিযুদ্ধকালীন সহকারী উপজেলা কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আ.ক.ম আখতারুজ্জামান কামাল, বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান জুয়েল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিসুর রহমান শিকদার ইরন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলাইমান হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আহাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হাবিবুর রহমানসহ অন্যান্যরা।

বিএলএফ তথা মুজিববাহিনীর মুক্তিযুদ্ধকালীন সহকারী উপজেলা কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আ.ক.ম আখতারুজ্জামান বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ওয়াহিদুজ্জামান নইমুলের ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। তিনি পাক হানাদার বাহিনীর প্রিয় পাত্র ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে হানাদার বাহিনীর সাথে তাকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। তিনি কোথাও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন অথবা আমাদের সাথে যুদ্ধ করেছেন এরকম কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই। আপনারা বিশ্বাস না করলে গজারিয়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন। তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে আমরা চরমভাবে বিব্রত। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা এবং সাধারণ মানুষ কাউকেই ছাড়ছেন না তিনি। মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে তার এরকম কর্মকাণ্ড মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিব্রতকর। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ধরা পড়েছে। আমি প্রশাসনের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাই আপনারা ওয়াহিদুজ্জামান নইমুলের ব্যাপারে খোঁজখবর নিন। তিনি প্রকৃত অর্থেই যুদ্ধ করেছেন কিনা তা খুঁজে বের করুন।

মুক্তিযোদ্ধার আনিসুর রহমান শিকদার ইরন বলেন, বিভিন্ন ঘটনায় মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমার নামে পাঁচটি মামলা দিয়েছে ওয়াহিদুজ্জামান নইমুল। একজন মুক্তিযোদ্ধা কিভাবে এমন হতে পারে তা আমার মাথায় আসে না। তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেন নাই সেজন্য প্রতারণার আশ্রয় নিতে তার লজ্জা হয় না। সকল ঘটনার তদন্ত এবং তার শাস্তির দাবি করি আমরা।

বিষয়টি সম্পর্কে বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান জুয়েল বলেন, তার বিরুদ্ধে স্থানীয় অসংখ্য মানুষ আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছে। সম্প্রতি হারুন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে জমি বিক্রি করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি সাড়ে সাত লাখ টাকা নেন। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও সে টাকা ফেরত দেওয়া অথবা জমি রেজিস্ট্রি করে না দেওয়ায় বিষয়টি সম্পর্কে আমি তাকে জিজ্ঞেস করি। এজন্য সে আমার নামে মামলা দিয়েছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা কিভাবে মানুষের সাথে প্রতারণা করতে পারে তা দেখে আমরা অবাক হয়েছি।

 
Electronic Paper