ঢাকা, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪ | ১ কার্তিক ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

থানায় অগ্নিসংযোগ ও কনস্টেবল হত্যা মামলায় গ্রেফতার-৩

নোয়াখালী, সোনাইমুড়ী প্রতিনিধি
🕐 ৯:০০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০২৪

থানায় অগ্নিসংযোগ ও কনস্টেবল হত্যা মামলায় গ্রেফতার-৩

 

গত ৫ই আগস্ট সোনাইমুড়ী থানায় হামলা, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশ কনস্টেবলকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ৩জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আজ শনিবার সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আবদুল্লাহ আল ফারুক।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নাইম হোসেন(২১) ইমাম হোসেন ওরফে ইমন (২২) নাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা সবাই সোনাইমুড়ী উপজেলার বাসিন্দা।

এদিকে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের পরিবার জানান, আমাদের ছেলেরা নিরপরাধ। এরা কেউ গত ৫ই আগস্টের অগ্নি সংযোগ, পুলিশ কে পিটিয়ে হত্যা, এগুলো কোনটার সাথেই জড়িত নয়, আমাদের সন্তানদেরকে কেউ শত্রুতা করে এসকল মিথ্যা মামলায় ঢুকিয়েছে।

শিশু আসামি নাহিদুল ইসলামের মা জেসমিন আক্তার সাংবাদিকদের জানান, আমার ছেলেকে নিয়ে আমি ঢাকা মেডিকেল থেকে আসছি। আমার ছেলে আমাকে বাড়িতে দিয়ে, সোনাইমুড়ী বাজারে ওষুধের জন্য আসে। এর কিছুক্ষণ পরে বাইপাশ থেকে আমার ছেলেকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। পরে জানলাম আমার ছেলেকে কোর্টে চালান করেছে। অথচ আমার ছেলের বর্তমান বয়স ১৫ বছর চলছে, সে কখনো কোন রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল না। যারা এই নাশকতা করেছে, তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে, পুলিশ তাদেরকে ধরছে না।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর দুপুর ২টার দিকে সোনাইমুড়ীর বাইপাস বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আসামি নাইম হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যমতে তার মোবাইল ফোনের ডায়াল লিস্ট পর্যালোচনা করে নিহত পুলিশ কনস্টেবল মো.ইব্রাহীমকে হত্যার সাথে জড়িত আসামি ইমাম হোসেন ওরফে ইমনের হেফাজত থেকে নিহত পুলিশ কনস্টেবলের ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধার করা হয়। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় একই দিন সন্ধ্যার দিকে উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের ভাওরকোট এলাকা থেকে আসামি ইমাম হোসেন ওরফে ইমনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ওই সময় তার থেকে একটি টেকনো স্পার্ক মোবাইল জব্দ করা হয়। উক্ত মোবাইল ফোনে ম্যাসেঞ্জারে জনৈক ওমর ফারুক নামক আইডির ব্যক্তির কাছে পাঠানো ইমনের ঘটনার দিন পুলিশ হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক ভয়েস রেকর্ড পাওয়া যায়। এরপর কনস্টেবল ইব্রাহিমকে হত্যার সাথে জড়িত শিশু নাহিদুল ইসলাকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গ্রেফতারকৃত শিশু নাহিদুল জিজ্ঞাসাবাদে জানায় আসামিরা গত ৫ আগস্ট সোনাইমুড়ী থানায় হামলা ও সংঘাতে জড়িত। আসামি নাইম হোসেন, ইমন পুলিশের সাথে সংঘাতে জড়িত বলে জানায় শিশু নাহিদুল ইসলাম।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেফতার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে পরিকল্পিত হত্যার বিষয়টি স্পষ্ট ও প্রাথমিকভাবে স্বাক্ষ্য প্রমাণ সম্বলিত। আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করে।

 
Electronic Paper