ঢাকা, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৩ ভাদ্র ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ড বয়ের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
🕐 ২:২৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৫, ২০২৪

রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ড বয়ের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জের ৫০ শয্যা বিশিষ্ট্য রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়োজিত ওয়ার্ড বয় আলমগীরের বাসা হাসপাতাল সংলগ্ন হওয়ায় ডাক্তারদের উপর প্রভাব খাটিয়ে গত ৫ বছর যাবৎ রোগীদের বেসরকারি হাসপাতালে পাঠিয়ে, সরকারি ঔষুধ অন্যত্র বিক্রি করে এমনকি গ্রিবাস রোগী সনদ বাগিয়ে দালালের ভূমিকায় থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, হাসপাতালের দরজা, পুরনো আসবাব স্টোর রুম থেকে বিনা টেন্ডারে তার বাসায় ব্যবহারের রয়েছে অভিযোগ। আর এসব নিয়ে হাসপাতালের কর্মচারী ও কর্মকর্তা কেউ মুখ খুললে উর্ধতনদের ম্যানেজ আর অধিনস্থদের হুমকি দেয়া ও নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

হাসপাতালে সংলগ্ন বাসিন্দা আলমগীরের প্রতিবেশী ভুক্তভোগী মোমেন মিয়া জানান, হাসপাতালের দায়িত্বরত ওয়ার্ড বয় আলমগীরের বাসা হাসপাতাল থেকে হেঁটে মাত্র ৩ মিনিটের দূরত্ব। একারনে হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিজেই তাকে ভয় পায়। ফলে সে মনগড়া মতো অফিস করে। ওয়ার্ড বয় হলেও সে হাসপাতালের রোগীদের বেসরকারি হাসপাতালে পাঠায়। গ্রিবাস সনদ নিয়ে দিতে ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা রোগীদের স্বজন থেকে আদায় করে। কখনো কখনো নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে থাকে। হাসপাতালে ডাক্তার না থাকলে জরুরি বিভাগে নিজেই রোগী দেখে। এমনকি হাড় ভাঙ্গা রোগী, বিষপান করা রোগীদের সেবা, গর্ভবতি নারীদের হাসপাতালে এলে গায়ে হাত দেয়ার ঘটনাও রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ার আলমগীরকে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও কর্মকর্তারাও ভয় পান; ফলে তার অপকর্ম জানলেও কোন ব্যবস্থা নেয় না। কেউ প্রতিবাদ করলে হামলা করে থাকে। এমন এক ঘটনায় প্রতিবেশী মোশারফকে কুপিয়ে জখম করে। এসব ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তার অপকর্মের বিচার চেয়ে জেলা সিভিল সার্জন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযোগ করা হয়েছে।

এসব বিষয়ে অভিযুক্ত ওয়ার্ড বয় আলমগীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোনো অনিয়ম করিনা। কাউকে ভয় দেখাইনা। যিনি অভিযোগ করেছেন তার সাথে আমাদের পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। তাই আমার বিরুদ্ধে নানাকিছু বলে অভিযোগ করেছে। মোশাররফকে হামলা প্রসঙ্গে বলেন, দুই পরিবারের মাঝে জমি নিয়ে বিরোধ থেকে উভয় পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে।

এসব বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আইভী ফেরদৌস বলেন, হাসপাতালের কোনো ওয়ার্ড বয় এমন করে থাকলে তা তদন্ত করা হবে। ইতোমধ্যে একটি অভিযোগ পেয়ে জেলা সিভিল সার্জন তদন্ত করছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে আইনি পদক্ষেপে নেব। আলমগীরকে কেউ ভয় পাবে এমন ঘটনাও জানা নাই। এসব খতিয়ে দেখবো।

 
Electronic Paper