ঢাকা, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ট্রাক ড্রাইভারকে মারধর করে ৭ লক্ষ টাকা লুট

রাজিউল হাসান পলাশ, ধামরাই (ঢাকা)
🕐 ৩:৪৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৭, ২০২৪

ট্রাক ড্রাইভারকে মারধর করে ৭ লক্ষ টাকা লুট

ঢাকার ধামরাইয়ে ডিস্ট্রিক ট্রাকের পথ আটকিয়ে ড্রাইভার শাজেদুল ইসলামকে (২৮) মারধর করে চাল বিক্রির ৭ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা লুট করার অভিযোগ উঠেছে ধামরাই সদর ইউনিয়নের শরীফভাগ এলাকার একটি চক্রের বিরুদ্ধে। এঘটনায় ৫ জনকে বিবাদী করে ধামরাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন আহত ড্রাইভার শাজেদুলের গাড়ির মালিক আবু বক্কর সিদ্দীক। আহত শাজেদুল ইসলাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের শরীফভাগ পশ্চিম পাড়ার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।

শনিবার সকালে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সুধন চন্দ্র।

অভিযুক্তরা হলেন- মোশারফ (৫০), মোস্তাফিজুর, আল মাহমুদ (১৮), ইস্রাফিল (১৮) ও সাব্বির (১৮)। অভিযুক্ত সকলেই ধামরাই সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ড্রাইভার শাজেদুল ইসলাম ৩০০ বস্তা চাল আনলোড করে চালের দাম ৭ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে গাড়ির মালিকের বাড়ি যাওয়ার পথে শরীফভাগ মকিবুরের বন্ধ মুরগীর ফার্মের সামনে গাড়ির গতিরোধ করে হাতুড়ি দিয়ে গাড়ির দরজা ভেঙ্গে ড্রাইভারকে লাঠিসোঁটা ও হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে চাল বিক্রির টাকা লুট করে নেয়।

আহত শাজেদুল ইসলাম জানায়, আমি চাল সাপ্লাই দিয়ে ৩০০ বস্তা চালের দাম ৭ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নিয়া আসছিলাম। মহাজনকে ফোন দিলাম টাকা দেয়ার লাইগ্যা কিন্তু তার নাম্বারে ফোন ঢুকে নাই। তাই আমি ট্রাক নিয়ে মহাজনের বাড়ি যাওয়ার জন্য রওয়ানা দেই। আইঙ্গন ব্রিজ পার হলে সামনে প্রায় ৩০-৪০ জন লোক নিয়া আমার গাড়ির পথ আটকায় ভেকু মোশাররফ, আল মোহাম্মদ, মোস্তাফিজুর, ইস্রাফিল, সাব্বির। আমি কিছু বুঝার আগেই তারা গাড়ির দরজা গ্লাস ভাইঙ্গা আমাকে টাইনা হেচড়াইয়া বাইর করে। মোস্তাফিজুর, আল মাহমুদ আর ইস্রাফিল আমার কোমড়ে হাত দিয়া আমারে পুরা উলঙ্গ কইরা মাইরধর কইরা টাকা নিয়া নেয়। এরপর পাশের একটি মুরগী ফার্মে নিয়া সবাই মিলা আমারে লাঠিসোঁটা দিয়া বেধড়ক মারধর করে ফালাইয়া রাইখা যায়। পরে এলাকাবাসী আমার ডাক চিৎকার শুইনা আমারে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনে। আমার পুরা শরীর জখমে ভইরা গেছে।

ট্রাকের মালিক মো. আবুবকর হোসেন জানান, গত শনিবার (২০ জুলাই) ৩০০ বস্তা চাল দিয়া ওরে ঝিটকা পাঠাইছিলাম। জরুরি অবস্থা থাকার কারণে ও সন্ধ্যার দিকে রওয়ানা দেয় ধামরাইয়ের উদ্দেশ্যে। চালের দোকানদার চালের দাম বাবদ ৭ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ওর কাছে দিয়া দিছে। প্রায় সময়ই দোকান মালিকেরা টাকা ওর কাছে দেয় ও আমার কাছে তা বুঝিয়ে দেয়। কিন্তু ঘটনার দিন আমি রাস্তায় বসা ছিলাম রাত আটটার দিকে একজন আইসা বললো একজন ট্রাক ড্রাইভারকে মাইরা শরীফভাগের রাস্তায় ফালাইয়া রাখছে। কৌতুহলবসত যাইয়া দেখি আমার গাড়ির ড্রাইভার সাজিদুল রাস্তায় পইড়া আছে আর ট্রাক বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গা। পরে ওরে নিয়া হাসপাতাকে আসি।

ধামরাই থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সুধন চন্দ্র জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলছে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 
Electronic Paper