ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১ আশ্বিন ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সিঙ্গাইরে জমি দখলের চেষ্টা, ছাত্র-জনতার বাধায় পণ্ড

সিঙ্গাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
🕐 ৫:০১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩১, ২০২৪

সিঙ্গাইরে জমি দখলের চেষ্টা, ছাত্র-জনতার বাধায় পণ্ড

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে দীর্ঘদিনের ভোগ দখল করা জমি জোরপূর্বক দখল করতে আসে স্থানীয় প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা বাধা দিলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে প্রভাবশালী মহলটি পিছু হটতে বাধ্য হয়। উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের বাঘুলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারটি শনিবার (৩১ আগস্ট) সিঙ্গাইর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাঘুলী গ্রামের চাঁন মিয়া তার বাড়ির পাশের আরএস ১৫৭৫ দাগের ১৯ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছে। একই গ্রামের আব্দুর রহমান জমিটির মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি চলমান রয়েছে। এদিকে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আব্দুর রহমান গং ভারাটে লোকজন নিয়ে জমিটি অবৈধভাবে দখল করার চেষ্টা করে। খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা বাধা দেয়। এসময় কয়েকজন ছাত্র মারধরের শিকার হন। এক পর্যায়ে ছাত্র জনতার বাধায় তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরে আব্দুর রহমান বাদী হয়ে চাঁন মিয়া গংদের উপর থানায় মিথ্যা অভিযোগ দেয়।

ভুক্তভোগী চাঁন মিয়া বলেন, সেনাবাহিনী ও সিঙ্গাইর থানার ওসিকে বিষয়টি অবগত করি। তবে থানার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সাথে সাথে কোনো অভিযোগ করতে পারেনি। পরে শনিবার এবিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করি।

তিনি আরো বলেন, জমিটি আমার বাবা থেকে ওয়ারিশ সূত্রে মালিক। জমিটি নাল ছিল, আমি সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার বালু ভরাট করেছি। এখন তারা নিজেদের জমি বলে দাবি করে আদালতে মামলা করেছে। আমি বলেছি আদালতের সিদ্ধান্ত যা হবে মেনে নিবো। কিন্তু তারা আদালতের আদেশ অমান্য করে জোরপূর্বক জমিটি দখলের চেষ্টা করছে।

স্থানীয় সোহরাব হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে উভয়ের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। জমির প্রকৃত মালিক চাঁন মিয়া। আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থানীয় আব্দুর রহমান গং জমি দখলের জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতা মেহেদী বিশ্বাস বলেন, আমাদের কাছে খবর আসে বাঘুলী গ্রামে অবৈধভাবে একটি জমি দখলের চেষ্টা চলছে। পরে আমরা ঘটনাস্থলে ওই পক্ষকে ডেকে বুঝানোর চেষ্টা করি আদালতের আদেশ অমাণ্য করে এই মুহূর্তে কেউ জমি দখল করতে পারবেন না। পরে আব্দুর রহমানের লোকজন আমাদের কথা না শুনে আমাদের উপর হামলা চালায়। আমরা সকল ছাত্ররা তাদের জমি দখলে বাধা দেই।

এবিষয়ে কথা বলেতে আব্দুর রহমানের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।

শান্তিপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মামুনুর রশীদ বলেন, ফাঁড়ির কার্যক্রম কয়েকদিন বন্ধ ছিল। বর্তমানে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অভিযোগটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 
Electronic Paper