বিএনপি নেতার পরিবারকে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৯:২৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০২৪
সাভারের হেমায়েতপুরে এক বিএনপি নেতার পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিক শরীফুল ইসলাম এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘তিনটি জাতীয় দৈনিকে আমার পরিবারের বিরুদ্ধে দখলবাজি, চাঁদাবাজি, মারধর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও গার্মেন্টস নিয়ন্ত্রণ করার সংবাদ প্রকাশ করা হয়। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও হয়রানিমূলক। তিনটি পত্রিকাতেই একই রিপোর্ট হুবহু প্রকাশিত হয়েছে। এ থেকে বুঝা যায় প্রকাশিত সংবাদগুলো মিথ্যা, কাল্পনিক, মনগড়া ও ষড়যন্ত্রমূলক।’
তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকজন নব্য বিএনপি নেতা সেজে এলাকায় ফুটপাতসহ জমিজামা দখলে ব্যস্ত। আমি বা আমার কোন ভাই হেমায়েতপুরের কোন ফুটপাথ, ভ্রাম্যমাণ মার্কেট, কুলিবিট, বাজার-ঘাট, মসজিদ কমিটি, হাউজিং ব্যবসা দখলে ব্যস্ত নই।’
“এই সংবাদে অভিযোগ করা হয়েছে আমি নাকি টিমট্রেস্ক্র গার্মেন্টস দখন নিয়েছি। যা হাস্যকর। কারণ এই গার্মেন্টস এর এমডি মনিরুল ইসলাম এই অভিযোগ শুনে তিনি নিজেই হতভম্ব। তিনি নিজে বলেছেন- প্রকাশ্যে বা গোপনে শরীফ কোন ভাবেই এর সাথে জড়িত নয়। এর থেকে বুঝা যায় এই নিউজগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিত।”
“একই নিউজে একটি অংশে যুবলীগ নেতা মনির হোসেন আমার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছে। আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা এখনো স্বক্রিয়; এজন্য আমার বিরুদ্ধে এরূপ মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করেছে। বরং আমরা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গোটা পরিবার আওয়ামী লীগ দ্বারা নির্যাতিত। আমাদের পুরো পরিবারের নামে ৩৬টি রাজনৈতিক মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা দিয়েছিল স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার।”
শরীফুল ইসলাম বলেন, আমার মরহুম পিতা মো. শাহজাহান ব্যাপারিসহ আমরা চার ভাই মিথ্যা মামলায় একসঙ্গে জেল খেটেছি। আমার ছোট ভাই রাকিব এবং রাসেল ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজপথে সামনের কাতারে থেকে স্বৈরাচারী সরকারকে হটানোর জন্য আন্দোলন করেছে। আমার পরিবারের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে এলাকার কিছু লোক এসব নিউজ করাচ্ছে। হেমায়েতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি করা নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে; প্রকৃত সত্য হলো স্কুলের শিক্ষক ও অভিবাবকরা মিলে আমাকে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি করেছে। এখানে উল্লখ্য, স্কুলটি সম্পূর্ণ বেসরকারি। তিনি প্রশাসনের উদ্দেশ্যে ফুটপাত উচ্ছেদের আহবান জানান।
কেকে/এজে