ঢাকা, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪ | ১৬ আষাঢ় ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রপ্তানি আয়ের ৮৪ ভাগের উৎস পোশাক খাত

অনলাইন ডেস্ক
🕐 ৯:১০ অপরাহ্ণ, জুন ২৭, ২০২৪

রপ্তানি আয়ের ৮৪ ভাগের উৎস পোশাক খাত

দেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশের বেশি পোশাক খাত থেকে অর্জিত হয় বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরীর এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

এসময় জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আজকের বদলে যাওয়া বাংলাদেশের পেছনে সহায়ক হিসেবে কাজ করা পোশাকশিল্প মালিকদের কল্যাণে বস্ত্র অধিদপ্তর বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করছে। দেশের অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদা পূরণ, রপ্তানি বৃদ্ধি এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের বস্ত্র খাতকে যুগোপযোগীকরণ, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা অর্জনের সহায়তাকরণ, টেকসই উন্নয়ন এবং বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণের জন্য বস্ত্র আইন, ২০১৮ পাস হয়েছে; যা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে বস্ত্র অধিদপ্তর।

বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, বস্ত্র অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বছরে গড়ে ৫ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী টেক্সটাইল বিষয়ে পাস করে বের হচ্ছে। পাসকৃত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দেশি-বিদেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের চাকরিতে নিয়োজিত হয়ে বস্ত্রখাতে অবদান রাখছে।

বস্ত্রমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে বস্ত্র অধিদপ্তরের আওতাধীন ৯টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং ১৫টি টেক্সটাইল ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট, ৪১টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট চলমান রয়েছে। বস্ত্র অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত টেক্সটাইল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সমূহ নতুন নতুন কোর্স সংযোজনের মাধ্যমে এ শিল্পের কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, বস্ত্র অধিদপ্তর স্থানীয় এবং বিদেশি বস্ত্রশিল্প প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন প্রদান করছে; যার ফলে এ শিল্পের সম্প্রসারণ ও বিপণন বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, বায়িং হাউজ নিবন্ধনের প্রজ্ঞাপন, ২০১৯ জারি করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী বস্ত্র অধিদপ্তর কাজ করছে। এ পর্যন্ত ১০৮৩টি স্থানীয় এবং বিদেশি বায়িং হাউজ নিবন্ধিত হয়েছে। এ সকল বায়িং হাউজ পণ্যের নতুন বাজার সম্প্রসারণ এবং এ শিল্পের বিকাশে সহায়ক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।

 
Electronic Paper