ঢাকা, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৩ ভাদ্র ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শাবিতে ছাত্রলীগের হামলা, রক্তাক্ত শিক্ষার্থী

শাবি প্রতিনিধি
🕐 ৭:৩০ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৫, ২০২৪

শাবিতে ছাত্রলীগের হামলা, রক্তাক্ত শিক্ষার্থী

মধ্যরাতে কোটা সংস্কারের দাবিতে মিছিল নিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হন সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহত ঐ শিক্ষার্থী শাবির ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সে অধ্যায়নরত দেলওয়ার হোসেন শিশির।

রবিবার (১৪জুলাই) রাত সাড়ে ১১টা থেকে কোটা বিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল শাবির আবাসিক হলগুলোতে। এরই অংশ হিসেবে রাত সাড়ে ১২টায় প্রধানফটক সহ আবাসিক হলগুলো থেকে মিছিল নিয়ে গোলচত্বরে জড় হন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।

এসময় শিক্ষার্থীরা তুমি কে! আমি কে! রাজাকার, রাজাকার; সারা বাংলার মাটি রাজাকারের ঘাটি; শাবিপ্রবির মাটি রাজাকারের ঘাটি; চেয়েছিলাম অধিকার হয়ে গেলাম রাজাকার; সাস্টিয়ান সাস্টিয়ান এক হও এক হও ইত্যাদি স্লোগান দিতে দিতে হলরাস্তার অভিমুখে রওনা হন।

একই সময় শাহপরাণ হল প্রাঙ্গণ থেকে ক্যাম্পাস অভিমুখে মিছিল বের করেন ছাত্রলীগ। উভয় পক্ষ কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মুখোমুখি শিক্ষার্থী স্লোগানের পাল্টা জবাবে তুমি কে! আমি কে! বাঙালি বাঙালি স্লোগান দিতে থাকেন ছাত্রলীগ।

স্লোগানের একপর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের সামনে থাকা ছাত্রীদের শরীরে আঘাত করেন বলে অভিযোগ করেন কোটা বিরোধী আন্দোলনের শাবির শাখা সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিফ।

তিনি বলেন, ছাত্রলীগ এলোপাতাড়ি আমাদেরকে ও আমাদের বোনদের উপর আঘাত করেছেন। আমরা যারা মিছিলের সামনে থাকা আমাদের বোনদেরকে রক্ষা করার চেষ্টা করছিলাম তাদের সবাইকে আঘাত করা হয়েছে। এতে করে আমাদের ভাই ও বোনদের মধ্যে ২০জনের মতো আঘাতের শিকার হয়েছেন। এছাড়া গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে শাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খলিলুর রহমান রহমান খলিল বলেন, এখানে হামলার কোনো ধরনের ঘটনা ঘটেনি। বরং আমরা তাদেরকে জায়গা করে দিছি তারা তাদের মিছিল নিয়ে গেছেন। যদি এই ধরনের অভিযোগ করা হয় সেটা মিথ্যা ও বানোয়াট। এখানে কোনো ধরনের হামলা হয়নি ভিডিও ফুটেজগুলো দেখলে বোঝা যাবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘দুইপক্ষ মুখোমুখি হলে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে তা স্বাভাবিক হয়ে যায়। কেউ আহত হয়েছে কিনা শিক্ষার্থীরা এমন কোনো বিষয়ে জানাননি।’ বর্তমানে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানান তিনি।

 
Electronic Paper