ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১ আশ্বিন ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

যবিপ্রবিতে শিক্ষকের অব্যাহতি দাবিতে আন্দোলন

যবিপ্রবি প্রতিনিধি
🕐 ৭:২০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৮, ২০২৪

যবিপ্রবিতে শিক্ষকের অব্যাহতি দাবিতে আন্দোলন

ভিন্ন ভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে আন্দোলন করছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কোটা আন্দোলনে উস্কানিমূলক মন্তব্যের কারণে কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষক সুজন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ও জনসংযোগ শাখার গোপনীয় লকারের চাবি লোপাটের কারণে কর্মকর্তা হায়াতুজ্জামান মুকুলের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার দুপুরে কেমিকৌশল বিভাগ, ফিজিওথেরাপি এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা এসব আন্দোলন করেন।

সুজন চৌধুরীর অব্যাহতি দাবি: বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সুজন চৌধুরীর অব্যাহতির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের সময়ে যখন তাদের ভাই-বোনদের উপর পুলিশ ও সন্ত্রাসী বাহিনী নির্যাতন চালাচ্ছিল, তখন ড. সুজন চৌধুরী সেই নির্যাতনকে সমর্থন জানিয়ে বিদ্রুপ করেন এবং উল্লাস করেন। এই ঘটনা সম্পর্কে কোনো অনুশোচনা প্রকাশ না করায় শিক্ষার্থীরা তাকে অপসারণের দাবি জানায়।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা চাই না যার হাত আমাদের ভাই-বোনদের রক্তে রঞ্জিত, সে আমাদের ডিপার্টমেন্টে অবস্থান করুক।

শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীবের কাছে ড. সুজন চৌধুরীর অব্যাহতি দাবি করে লিখিত অভিযোগ দেন এবং বিচার সম্পন্ন হওয়ার আগে তাকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আহ্বান জানান।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ড. সুজন চৌধুরী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন এবং বলেন, তিনি বরাবরই শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন। তিনি দাবি করেন যে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

হায়াতুজ্জামান মুকুলের গোপনীয় লকারের চাবি লোপাট: বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখার গোপনীয় লকারের চাবি ও অফিসের তালা চাবি লোপাটের অভিযোগ উঠে নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত হায়াতুজ্জামান মুকুলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জনসংযোগ শাখা, মুকুলের বর্তমান কর্মস্থল প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অফিসে গিয়েও মুকুলকে খুঁজে পাননি।
এ সময় তারা অনুষদটির ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীবের সাথে সাক্ষাৎ করে ঘটনা অবহিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

উল্লেখ্য, মুকুল নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তাকে ডিন অফিসে বদলি করা হয়েছিলো। জানা যায়, তিনি ২৭ আগস্ট দুপুরে জনসংযোগ শাখার গোপনীয় নথি থাকা লকারের চাবি নিয়ে যান। যা নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে কর্মরতরা গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েব হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে হায়াতুজ্জামান মুকুল বলেন, আমি কোনো তালা চাবি নেইনি। তবে ক্যাম্পাসে তার কর্মকান্ড নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তুলেছেন এবং তাকে খুঁজতে গিয়ে তাকে ডিন অফিসে পাওয়া যায়নি।

সার্বিক বিষয়ে যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব বলেন, প্রকৌশল অনুষদের ডিন অফিসে কর্মরত হায়াতুজ্জামান মুকুল জনসংযোগ শাখার স্টোর রুমের চাবি এবং ৩০৪ নং কক্ষের তালাচাবি নিয়ে গেছে বলে মৌখিকভাবে জেনেছি। তার বর্তমান কর্মস্থল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, জনসংযোগ শাখাতে বদলি করা হয়নি। প্রকৌশল অনুষদই তার বর্তমান কর্মস্থল।

কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষককে অব্যাহতির প্রসঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিনি বলেন, রেজিস্ট্রার হিসেবে আমার দায়িত্বের ভিতরে কোন শিক্ষককে অব্যাহতির বিষয় পড়ে না। ভিসি বা ডিনদের দায়িত্ব এসব বিষয় দেখা। আমরা শীঘ্রই হয়তো ভিসি পাবো, লিখিত অভিযোগ দাও, আমরা ভিসি স্যার নিয়োগ পেলে তাকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলবো।

 
Electronic Paper