ঢাকা, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৩ ভাদ্র ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কুমিল্লায় পুলিশের গুলিতে হাসপাতালে শিক্ষার্থী

হাছিবুল ইসলাম সবুজ, কুবি
🕐 ৪:৩৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০২৪

কুমিল্লায় পুলিশের গুলিতে হাসপাতালে শিক্ষার্থী

কুমিল্লায় কোটা আন্দোলনকারী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশেপাশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির সংঘর্ষ চলছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছে। বর্তমানে তারা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে পৌঁছালে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। টানা তিন ঘন্টা ধরে পুলিশের সাথে শিক্ষার্থী দাওয়া পাল্টা চলছে। পুলিশের গুলিতে মহাসড়ক তৈরি হয়েছে রণক্ষেত্র।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কে শিক্ষার্থী এবং পুলিশ সদস্যরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিলেও হঠাৎ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ছুড়তে থাকে পুলিশ। এরপর শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। শিক্ষার্থীদেরকে উদ্দেশ্য করে পুলিশ পাল্টা হামলা চালায়। প্রায় তিন ঘন্টা ধরে এ সংঘর্ষ চলমান রয়েছে।

এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থী ও পুলিশের সংঘর্ষ চলমান রয়েছে। শিক্ষার্থী এবং পুলিশের আহত সংখ্যা আর বাড়তে পারে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

এছাড়াও শহর থেকে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কোটবাড়ি অভিমুখে রওনা করলে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সদস্যরা পথে বাধা দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বর্তমানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, কুমিল্লা সরকারি কলেজ, কুমিল্লা গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল ও কুমিল্লা জেলা স্কুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছে।

তাদের দাবি হলো- কোটা প্রথার যৌক্তিক সংস্কারের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজাকার ও মুক্তিযোদ্ধার নাতিদের নিয়ে করা বক্তব্যের প্রত্যাহার।

এর আগে শিক্ষার্থীরা বাঁশ, পাইপ, রড ও লাঠি হাতে নিয়ে পথে পথে স্লোগান দিতে থাকেন। তারা বলেন, ‘লড়াই, লড়াই, লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘আমি কে? তুমি কে? রাজাকার, রাজাকার’ কে বলেছে? কে বলেছে? স্বৈরাচার, স্বৈরাচার’, ‘ছাত্রলীগের কালো হাত ভেঙে দাও, ঘুরিয়ে দাও’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘ঢাবিতে হামলা কেন? প্রশাসন জবাব চাই’, ‘জাবিতে হামলা কেন? প্রশাসন জবাব চাই’,‘চবিতে হামলা কেন? প্রশাসন জবাব চাই’।

 
Electronic Paper