ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪ আশ্বিন ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

হাবিপ্রবিতে হল তল্লাশিতে মিলেছে দেশীয় অস্ত্র, পেট্রোল বোমা

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
🕐 ১২:২৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৫, ২০২৪

হাবিপ্রবিতে হল তল্লাশিতে মিলেছে দেশীয় অস্ত্র, পেট্রোল বোমা

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ছেলেদের পাঁচটি আবাসিক হলে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের হলভিত্তিক টিম গঠনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে তল্লাশি চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র, পেট্রোল বোমা, মদের বোতল, নেশা করার সামগ্রী, কনডমসহ নানা ক্ষতিকর বস্তু পাওয়া গেছে।

বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ২টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তাজউদ্দীন আহমেদ হল, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শেখ রাসেল হল (নূর হোসেন হল) ও শেখ রাসেল (এক্সটেনশন হলের) শতাধিক কক্ষে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এ অভিযান চালানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়টির শেখ রাসেল (নুর হোসেন) হলে ৯৬টি সামুরাই, ২টি হকিস্টিক, ৯২টি রড, ১৫৭ টি এসএস পাইপ, ২৫৭টি বাঁশের লাঠি, ৩টি মদের বোতল, ১৬টি হেলমেট, ১টি চেইন, ৪প্যাকেট কনডম, ৪টি প্লাস্টিক পাইপ, ৪টি পেট্রোল বোমা এবং কিছু মাদক সামগ্রী পাওয়া গেছে।

এবং শেখ রাসেল (এক্সটেনশন) হলে ২৩ টি সামুরাই, ৫ টি দা,৪৮ টি রড,৪৫ টি পাইপ,৭ টি হকিস্টিক, ২৭ টি লাঠি,১১ টি মদের বোতল, ২৩ টি হেলমেট, ১ টি গাঁজার কোলকি।

তাজউদ্দীন আহমেদ হল তল্লাশি করে ৭ টি সামুরাই,২৭ টি রড,১৪৯ টি লাঠি,২ টি বাঁশ, ১৯ টি পাইপ,১ টি করাত,১ টি প্লাস,১ টি চেইন,২টি স্ট্যাম্প,১টি হকিস্টিক, ১টি মদের বোতল, ১টি কোলকি পাওয়া গেছে।অপরদিকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হলে তল্লাশি করে ৯টি সামুরাই,৫৫টি এস এস পাইপ, ৪০ টি বাঁশের লাঠি, ৩৬ টি বাঁশ এবং কাঠের লাঠি, ৭২ টি রড এবং প্লাস্টিকের চিকন পাইপ, ২টি হেলমেট, ১টি ব্যবহারকৃত মদের বোতল,কিছু মাদক সামগ্রী গ্রহণের উপকরণ পাওয়া গেছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল তল্লাশি করে ১৮টি সামুরাই, ৭১টি এসএস পাইপ, ১৮টি বাঁশের লাঠি, ১১৩টি লোহার রড, ১৩টি হকিস্টিক, ১৫টি লাঠি, ৮টি প্লাস্টিক পাইপ, ২টি হেসকো ব্লেড, ১টি ডেগার, ৫টি মদের বোতল পাওয়া গেছে।

সাংবাদিক সমিতির উপস্থিতিতে অভিযানকালে হল প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। উদ্ধারকৃত অস্ত্রসহ সব উপকরণ রেজিস্ট্রার মারফতে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হয়।

শিক্ষকেরা বলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল থেকে এমন অস্ত্র পাওয়া কাম্য নয়। তবে আশা রাখছি তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে তাদের সংশোধন করবে এবং তারাই ভবিষ্যতের তারুণ্যের বাংলাদেশ বিনির্মান করবে।

সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং আবাসিক হলগুলোর নিরাপত্তা চাই। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে যেন শান্তি-শৃঙ্খলার অবনতি না করা হয়।

 
Electronic Paper