ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১ আশ্বিন ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভিসি-রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল সিমেবি

সিলেট ব্যুরো
🕐 ৪:৩৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৯, ২০২৪

ভিসি-রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল সিমেবি

আন্দোলনে উত্তাল সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিমেবি) ভিসি, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে গেল এক সাপ্তাহ ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সোমবার (১৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে আন্দোলনকারীরা। মিছিলটি নগরের জিন্দাবাজার পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ান) মো. গোলাম সারওয়ার, সেকশন অফিসার লোকমান আহমদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জুয়েল, কর্মচারীদের মধ্যে আশরাফ আহমদ, নাদীম সীমান্ত, মাহফুজ আহমদ, জুবেদ আহমদ, রীনী রাণি প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার চোখের ডাক্তার প্রফেসর ডা. এনায়েত হোসেন ও ট্রেজারার শাহ আলম ও রেজিস্ট্রার (এ্যাডহেক) আবুল কালাম মো. ফজলুর রহমান পদত্যাগ না করে উল্টো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছেন। আমরা তাদের পদত্যাগের জন্য ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে পদত্যাগ করেননি। তাই অনতিবিলম্বে আবারও আমরা তাদের পদত্যাগ দাবি করছি। অন্যথায় আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।

বক্তারা আরোও বলেন, ভিসি এবং রেজিস্ট্রার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশও করেন তারা।

এর আগে, গত সেমবার (১২ আগস্ট) ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারকে পদত্যাগের জন্য ৪৮ ঘন্টার সময় বেঁধে দেন বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদ।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে (এ্যাডহেক) ভিত্তিতে রেজিস্ট্রার পদে আবুল কালাম মো. ফজলুর রহমান নিয়োগ পান। এরপর থেকেই নানা অনিয়ম শুরু করেন। তার এসব দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে স্থানীয় পত্রিকা ও বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তবুও ক্ষমতার দাপট ও ভিসির একচ্ছত্র মদদে তিনি স্বপদে বহাল রয়েছেন। শুধু তাই নয় আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। তার ভয়ে তটস্থ ছিলেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তিনি তার পছন্দের কয়েজন কর্মকর্তাকে দিয়ে আলাদা সিন্ডিকেট গড়ে তুলেন। এই সিন্ডিকেট দিয়েই নানা অপকর্ম করাতেন তিনি। তাকে মদদ দিচ্ছেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. এনায়েত হোসেন।

 
Electronic Paper