গাজায় বহুজাতিক বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের
অনলাইন ডেস্ক
🕐 ৪:২০ অপরাহ্ণ, জুন ২৭, ২০২৪
![গাজায় বহুজাতিক বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের](https://www.kholakagojbd.com/media/2024/06/1258.jpg)
প্রায় ৯ মাস ধরে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ চলছে। ইসরায়েলি হামলায় ইতিমধ্যে ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ছোট্ট এই উপত্যকা। এত প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হলেও এই যুদ্ধ থামার কোনো দৃশ্যমান লক্ষণ নেই। তবে যুদ্ধ শেষ হলে গাজার ভাগ্যে কী ঘটবে, তা নিয়ে পরিকল্পনার অন্ত নেই। এক্ষেত্রে ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র মোড়লের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। যুদ্ধ পরবর্তী গাজায় একটি বহুজাতিক বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। মার্কিন সেনাদের এই বাহিনীতে না পাঠালেও আরবদের ঠিকই থাকার কথা বলছে বাইডেন প্রশাসন। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিকল্পনার অংশ হতে মত দিয়েছে মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
টাইমস অব ইসরায়েলের খবর অনুযায়ী, গাজায় যুদ্ধ শেষ হলে যে বহুজাতিক নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করা হবে তাতে অংশগ্রহণে নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে মিসর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মধ্যপ্রাচ্য সফরে গেলে এই অঞ্চলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিষয়টি অবহিত করেন তিনি। এ বিষয়ে জানাশোনা আছে এমন তিনজন কর্মকর্তা বিষয়টি ইসরায়েলি এই সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
কর্মকর্তারা বলছেন, মার্কিন এই পরিকল্পনায় যোগ দেওয়ার জন্য অবশ্য বেশ কয়েকটি কঠিন শর্ত আরোপ করেছে কায়রো ও দুবাই। তাদের শর্তের মধ্যে অন্যতম হলো ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় একটি পথ প্রতিষ্ঠা। যদিও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যেকোনো উদ্যোগের চরম বিরোধিতা করে আসছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
তৃতীয় আরেকটি সূত্র বলেছে, গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি করেছে মিসর। অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত চায় যে যুদ্ধোত্তর গাজার নিরাপত্তা বাহিনীতে যুক্তরাষ্ট্র যেন থাকে।
তবে ব্লিঙ্কেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিষ্ঠা ও সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতে সাহায্য করবে। আর এই বাহিনী যেন গাজায় স্থায়ীভাবে না থাকে সে জন্য অস্থায়ী ম্যান্ডেট দেয়া হবে। কিন্তু মার্কিন সেনারা এই বাহিনীতে যোগ দেবে না বলে স্পষ্ট করেছেন তিনি।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
![](http://www.kholakagojbd.com/images/archive-image.jpg)