ঢাকা, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪ | ১৯ আষাঢ় ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

উত্তেজনার মধ্যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপনাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো উত্তর কোরিয়া

অনলাইন ডেস্ক
🕐 ৫:১২ অপরাহ্ণ, জুলাই ০১, ২০২৪

উত্তেজনার মধ্যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপনাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো উত্তর কোরিয়া

যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই আবারও দুটি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়ার একদিনের মাথায় এ পরীক্ষা চালানো হলো। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, সোমবার (১ জুলাই) সিউলকে লক্ষ্য করে আবারও দুটি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে পিয়ংইয়ং। তবে দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি বিস্ফোরিত হতে পারে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী।

স্থানীয় সময় ভোরে উত্তর কোরিয়ার দক্ষিণ হোয়াংহাই প্রদেশের চাঙ্গিয়ন শহর থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে ১০ মিনিটের ব্যবধানে দুটি দুটি ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে নিক্ষেপ করা হয় বলে জানায় সিউল। প্রথমটি ৬০০ কিলোমিটার এবং দ্বিতীয়টি ১২০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ বলেছেন, সামরিক বাহিনী দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ শনাক্ত করেছে। প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৫ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হয়। এর প্রায় ১০ মিনিট পর দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। তবে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কোথায় পড়েছে, তা জানাতে পারেনি দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী। এ ছাড়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি কিম প্রশাসন।

কোরীয় উপত্যকায় দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়াকে উসকানি হিসেবেই দেখছে উত্তর কোরিয়া। মহড়ার পরপরই পিয়ংইয়ং ঘোষণা দেয়, এমন উসকানি অপ্রতিরোধ্য জবাব দেয়া হবে। তারপর দিনই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালো দেশটি।

অন্যদিকে, সিউলের সামরিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ স্পষ্ট উসকানি, যা কোরীয় উপদ্বীপে শান্তির জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রকে সঙ্গে নিয়ে উত্তর কোরিয়ার যেকোনো উসকানি প্রতিহত করা হবে বলে সতর্ক করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।

ময়লাভর্তি বেলুন পাঠানো, লাউড স্পিকারে অপপ্রচার চালানো কিংবা ক্ষেপণাস্ত্র ও স্যাটেলাইট নিক্ষেপ। এসব কিছু নিয়েই উত্তেজনা বেড়েছে কোরীয় উপদ্বীপে। বিশ্লেষকদের মতে, পরস্পরকে এভাবে উসকে দিয়ে সম্মুখ যুদ্ধের সম্ভাবনাকেই যেন বাড়িয়ে দিচ্ছে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া।

 
Electronic Paper