মাহমুদুর রহমানের ৭ দফা
যমুনা সেতুকে ‘আবু সাঈদ সেতু’ নামকরণের দাবি
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
🕐 ২:৫০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৬, ২০২৪
যমুনা সেতুর নাম পরিবর্তন করে আবু সাঈদ সেতু নামকরণ ও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে সাত দিনের মধ্যে নিষিদ্ধসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছেন আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রথম মতবিনিময় সভায় তিনি এ দাবি জানান।
সাত দফা দাবি উত্থাপন করে মাহমুদুর রহমান বলেন, অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ ও বেআইনি সংগঠন ঘোষণা করতে হবে। গত ১৬ বছরে বাংলাদেশের যত সন্ত্রাসী কার্যক্রম বা ঘটনা ঘটেছে তার জন্য একমাত্র ছাত্রলীগ দায়ী। ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সারা বাংলাদেশ হাজারো ছেলে-মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে, আবু সাঈদ-মুগ্ধকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যায় পুলিশ ও ছাত্রলীগের বাহিনী ছিল। দ্বিতীয় দফাতে তিনি এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, আমার দেশ পরিবার ও সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আগামী এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দিচ্ছি। সাত দিনের মধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
এছাড়া তিনি প্রথম দফাতে উল্লেখ করেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের দেশে বিদেশে চিকিৎসার জন্য কমিশন গঠন করতে হবে। এতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা, শিল্প ও গণপূর্ত এবং প্রধান উপদেষ্টার সহকারী মাহফুজ আলমের নাম প্রস্তাব করেন।
তৃতীয় দফাতে তিনি বলেন, যমুনা সেতুর নাম পরিবর্তন করে আবু সাঈদ সেতু নামকরণ করার প্রস্তাব করেন।
চতুর্থ দফায় মাহমুদুর রহমান বলেন, ২০০৯ সালের পর থেকে ভারতের সঙ্গে যে সকল চুক্তি হয়েছে তা জনসন্মুখে প্রকাশ করতে হবে।
পঞ্চম দফায় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এর নাম শহীদ আবরার এভিনিউ হিসেবে নামকরনের দাবি তুলেন। ফ্যাসিবাদের আইকনের নামে কোনো স্থাপনার নাম হতে পারে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ষষ্ঠ দফায় ডব্লিউ-এইচও এর নমিনেশন থেকে সাইমা ওয়াজেদ পুতুলে নাম বাদ দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সপ্তম এবং শেষ দফায় তিনি বলেন, কারাবন্দি দুই জনকে হত্যা করা হয়েছে। এক নম্বর হচ্ছে, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল রহিম এবং বিএনপি নেতা পিন্টু। আমি ৫ দিন জেলে থাকার সময় কয়েদির কাছ থেকে জেনেছি তাদের হত্যা করা হয়েছে। তাদের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।