এক সপ্তাহে ভারত গেলো ৪১১ টন ইলিশ
অনলাইন ডেস্ক
🕐 ৫:২০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৬, ২০২৪
যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত এক সপ্তাহে ১৩১ ট্রাকে ৪১১ টন ৩০০ কেজি ইলিশ ভারতে রফতানি হয়েছে। শনিবার, ৫ অক্টোবর ১৩ ট্রাকে করে ৪২ টন ইলিশ ভারতে রফতানি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) রাশেদুল সজিব নাজির।
তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ৩০ ট্রাকে ৯২ টন, মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ২৩ ট্রাকে ৬৯ টন ৬৪০ কেজি, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ৩০ ট্রাকে ৮৯ টন, রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ছয় ট্রাকে ১৯ টন, শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ১৫ ট্রাকে ৪৫ টন ২০০ কেজি ও বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ২০ ট্রাকে ৫৪ টন ৪৬০ কেজি রফতানি হয়েছে।
এদিকে ইলিশ রফতানি নিয়ে ক্ষুব্ধ দেশের মানুষ। দেশের বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৮০০-২০০০ টাকায় বিক্রি হলেও ভারতে রফতানি হচ্ছে ১২০০ টাকায়। এটি কীভাবে সম্ভব সেটি নিয়ে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অবশ্য ব্যবসায়ীদের একটি সূত্র বলেছে, প্রকৃতপক্ষে ওই দরে ভারতে ইলিশ রফতানি হচ্ছে না।
একাধিক ব্যবসায়ী জানান, ভারতে রফতানির কারণে ইলিশ মিলছে না আড়তগুলোতে। যা পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর দাম প্রায় দ্বিগুণ। ছোট ইলিশ ৫০০-১০০০ টাকা ও বড় ইলিশ ২০০০-২২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত মাসের ২৫ সেপ্টেম্বর ৪৯ জন রফতানিকারককে দুই হাজার ৪২০ টন ইলিশ রফতানির ছাড়পত্র দেয় সরকার। এরমধ্যে ৪৮ জনকে ৫০ টন করে ও একজনকে ২০ মেট্রিক টন মাছ রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়। ১২ অক্টোবর এর মধ্যে রফতানি শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইলিশ রফতানিকারক বেনাপোলের সততা ফিসের ম্যানেজার রকি মাহামুদ জানান, প্রজননের জন্য ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ সময়ে দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। এ বছর ইলিশ রফতানির সময় বাড়ানো না হলে অনুমোদিত ইলিশ নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ রফতানি করা কঠিন হয়ে যাবে। সর্বোচ্চ ৫০০-৭০০ টন ইলিশ যেতে পারে।
বেনাপোল মৎস্য অফিসের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকারের বিশেষ অনুমতিতে ইলিশ রফতানি শুরু হলেও অনেকে প্রতিষ্ঠান এখনো ইলিশ মাছ ভারতে রফতানি করতে পারেনি।
কেকে/এজে