বিপ্লবী ওয়ার্কার্স ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, হাজারো শহিদের রক্তভেজা পথে দেশের পথচলা নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্র-সমাজের বৈষম্য দূর করেই শহিদদের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা জানাতে হবে। গণহত্যার আসামীদের ক্ষমা করার কোন সুযোগ নেই।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রংপুরের কাউনিয়ায় শহীদবাগ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের স্মরণ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সাইফুল হক বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুত্থানের হাজারো শহিদের রক্তভেজা পথেই বাংলাদেশকে আগামীর পথ চলা নিশ্চিত করতে হবে। অভ্যুত্থানের বীর শহিদদের এই রক্তস্রোত স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের অযুত সম্ভাবনার রাস্তা খুলে দিয়েছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সমাজের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য দূর করে সাম্যভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেই শহিদদের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা জানাতে হবে। তিনি দ্রুত শহিদ পরিবারসমূহের উপযুক্ত পুনর্বাসনের দাবি জানান।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার অভিযুক্তদের অধিকাংশই এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এদের সবাইকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। গণহত্যার আসামীদের কোন ক্ষমা নেই; এদের রাজনৈতিক পুনর্বাসনেরও কোন সুযোগ নেই। খুনিদের বিচার কোন প্রতিশোধ বা প্রতিহিংসার বিষয় নয়।
তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করে বলেন, বাজার পরিস্থিতি এখনও বেসামাল ও লাগামহীন। তিনি জরুরী ভিত্তিতে বাজার নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নেবার আহবান জানান।
পার্টির রংপুর জেলা শাখার সম্পাদক মোহাম্মদ স্বাধীন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় আরো বক্তব্য রাখেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আনছার আলী দুলাল, পার্টির গাইবান্ধা জেলা কমিটির সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিএনপির রংপুর জেলার নেতা এমদাদুল হক ভরসা, রাকিবুল হাসান পলাস, জামিনুর রহমান প্রমুখ ।
সমাবেশে বহ্নিশিখা জামালী বলেন, গণঅভ্যুত্থানের এত বড় বিজয়ের পরও মানুষের মনে এখনও শান্তি আসেনি। মানুষের জীবন নিরাপদ না হলে সরকারের প্রতি মানুষের এই সমর্থন থাকবে না।
আকবর খান গরিব মানুষদের রক্ষায় অভাবী পরিবারদেরকে মাসিক ৫ হাজার করে টাকা দেওয়ার দাবি জানান।
আনছার আলী দুলাল বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সরকারের কোন সংস্কার পদক্ষেপও কার্যকরি হবে না। তিনি বন্ধ চিনিকল চালুর দাবি জানান।
সমাবেশের শুরুতে গত জুলাই-আগস্টের ছাত্র শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুত্থানের শহিদ আবু সাঈদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শহিদ বদিউজ্জামাল, আবদুল লতিফ, নাসিরুদ্দিনসহ সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।
কেকে/এজে