চলতি পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে শতাধিক পরিবারকে ইফতার সামগ্রী উপহারস্বরুপ পৌঁছে দিয়েছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সামাজিক সংগঠন দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন।
রোববার (১৬ মার্চ) চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলায় উক্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকরা গোপনে প্যাকেটে নানা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রেখে আসে মানুষের বাসার সামনে।
উক্ত প্যাকেটে ছিল—১ কেজি খেজুর, ২ কেজি চিড়া, ২ কেজি চিনি, ২ কেজি, ২ কেজি ছোলা, ২ কেজি লবন, ২ কেজি পেঁয়াজ, ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৪ কেজি আলু ও ৫ কেজি চাল। প্রজেক্টটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশনের অন্যতম শুভাকাঙ্ক্ষী মো. ইমরুল হায়দার সৈকত।
প্রজেক্ট সম্পর্কে মো. ইমরুল হায়দার সৈকত বলেন, দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন সবসময়ই ইউনিক আইডিয়া নিয়ে কাজ করে। আজ তাদের কাজের অংশ হতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা নিরলসভাবে পরিশ্রম করেছেন। যে পরিবারে অধিক সহযোগিতার প্রয়োজন ,তা বিবেচনা করেই সর্বোমোট ১০৪টা পরিবারকে আমরা গোপনে উপহারসমূহ পৌঁছে দিয়েছি।
সকল স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবু আবিদ বলেন, প্রতিটা রমজানেই আমাদের বেশ কিছু ভিন্নধর্মী প্রজেক্ট থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম কিছু হয়নি। সামনে আমাদের আরো কিছু প্রজেক্ট আছে। এটার মতো সেগুলোও যেন সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারি। আপনারা সকলে দোয়া করবেন।
সমাজ পরিবর্তনের লক্ষ্যে মুহাম্মদ আবু আবিদ প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন’। যার মাধ্যমে তিনি তরুণদের একত্রিত করে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
এই সংগঠনের সবচেয়ে শক্তিশালী জায়গাটা হলো—আবিদের ইউনিক আইডিয়া ও তার বাস্তবায়ন করা। অসহায় ও এতিম শিশুদের নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণ, বন্যা পরবর্তী চিকিৎসা সেবা, প্রাকৃতিক দূর্যোগে ধ্বংস বাড়ি পুনরায় মেরামত করে দেওয়া, বৃদ্ধাশ্রমে ঈদ পালন, বৃক্ষের পরিচর্যায় সচেতনতা বৃদ্ধি করা, ভাসমান জেলেদের সাথে কুরবানির রান্না মাংস খাওয়া, হিজড়া নিয়ে ব্যতিক্রমী আয়োজন, বিনামূল্যে দূর্বার তারুণ্য ব্লাড সোসাইটির নামে মানুষকে রক্তের ব্যবস্থা করে দেওয়া, এতিমখানায় ভ্যালেন্টাইন ডে পালন, ফ্রি ঈদ শপিং, শীতের রাতে গরম খাবার, ঈদের দিনে স্টেশনে বাচ্চাদের সেমাই খাওয়ানো ও বকশিস দেওয়াসহ আরো অনেক ব্যতিক্রমী প্রজেক্ট করেছে ফাউন্ডেশনটি।
কেকে/এএম