এবারের সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় বসছেন ১৯ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে নয়টি সাধারণ ধারার শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা দেবেন ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন। ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন পরীক্ষা দেবেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে।
রোববার (১৬ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটি সভায় বসে। বাংলা প্রথম পত্রের মাধ্যমে আগামী ১০ এপ্রিল শুরু হবে এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। শেষ হবে (তত্ত্বীয় পরীক্ষা) ১৩ মে। ১৫ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
সভার পর মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ১ হাজার ৫৩৮ জন এবং ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন ছাত্রী। ১৮ হাজার ৮৪টি স্কুলের এসব শিক্ষার্থী ২ হাজার ২৯১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবেন।
দাখিল পরীক্ষায় ছাত্র ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৩ জন এবং ছাত্রী ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৩ জন। ৯ হাজার ৬৩টি মাদ্রাসার এসব পরীক্ষার্থী ৭২৫টি কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালে ছাত্রের সংখ্যা ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৫ জন; ছাত্রী আছেন ৩৪ হাজার ৯২৮জন।
এবারের এসএসসি পরীক্ষা হবে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে, সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে।
এসএসসির সূচিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কক্ষে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষা আরাম্ভের তিন দিন আগে প্রবেশপত্র নিতে হবে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে।
তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে পাস করতে হবে পৃথকভাবে। পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে সাধারণ ‘সায়েন্টিফিক’ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন।
কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ বা পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে ও ব্যবহার করতে পারবেন না।
সভায় শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার উপস্থিত ছিলেন। তিনি তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ‘সংবেদনশীল’ আচরণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
তিনি বলেন, এসএসসি পরীক্ষা গ্রহণ একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ, যার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করাসহ পরীক্ষার সময়ে যেকোনো সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পরিবর্তিত প্রেক্ষাপট বিবেচনায় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংবেদনশীল আচরণ হবে। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য নম্বর নিশ্চিতকরণ করতে হবে।
সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, পরীক্ষা শুরু থেকে শেষ দিন পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পরীক্ষা চলাকালীন দিনগুলোতে পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে ফটোকপি মেশিন বন্ধ রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে। আগাম বন্যাপ্রবণ এলাকায় পরীক্ষা গ্রহণে ব্যাঘাত হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বোর্ডগুলোকে সতর্ক থাকতে হবে।
কেকে/এএম