আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া মার্কেটে জমে উঠেছে কেনাকাটার ধুম। সকাল থেকে রাত অবধি চলছে বেচাকেনা। কেউ কিনছেন থ্রি পিস, কেউ পাঞ্জাবি, আবার কেউ কিনছেন বাহারি শাড়ি।
সোমবার (১৭ মার্চ) উপজেলা সদর আড়পাড়া বাজারের টাইম ফ্যাশন, নিউ ফ্যাশন, অভি ফ্যাশন, নারি কুঠির, জয় ফ্যাশন, পোশাক ঘর, আরাফাত পাঞ্জাবি হাউজ, রায় বস্ত্রলায়সহ বিভিন্ন বিতানগুলোতে ঘুরে এমনই দৃশ্য দেখা গেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন দোকানে কেউ কিনছেন পাঞ্জাবি, কেউ শাড়ি কেউ বা থ্রি পিস। যেখানে প্রতিটি থ্রিপিস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা ৩০০০ টাকা পর্যন্ত। এর মধ্যে সাড়ারা, গাড়ারা, নায়েরা, আলিয়াভাট, হোয়াইট গোল্ড, পাকিস্তানি ও আফগানি নজর কাড়ছে থ্রি পিস প্রিয় ক্রেতাদের। পাশাপাশি বাহারি রঙের টুপি ও পাঞ্জাবি কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন লেবাস ফ্যাশন ও অভি ফ্যাশনে যেখানে একটি পাঞ্জাবী বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত।
এবছর কাপড়ের দাম একটু বেশি হলেও ভালো মানের কাপড় বিক্রি করছি বলে দাবি করেছেন বিক্রেতারা তবে ভিন্ন কথা বলছেন ক্রেতারা। ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবছর কাপড়ের দাম তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মানসম্মত কাপড় কিনতে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন উপজেলা সদর আড়পাড়া বাজারে।
এমনি একজন ক্রেতা মৌসুমী খাতুন। তিনি জানান, গত দুই বছর ঈদের কেনাকাটা তেমনভাবে করতে পারেনি, তাই এবছর দাম একটু বেশি হলেও পরিবারের সদস্যের জন্য কমবেশি কাপড় কিনে দেওয়ার চেষ্টা করছি। গত বছরের চেয়ে এ বছর কাপড়ের মূল্য একটু বেশি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
আরো কয়েকজন ক্রেতা জানান, গত বছরের চেয়ে এবার কাপড়ের দাম তুলনামূলক অনেক বেশি। ফলে নিম্নআয়ের মানুষের কাপড় কিনতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
আড়পাড়া বাজারের অভি ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী অভি বিশ্বাস বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর বেশি মূল্যে কাপড় ক্রয় করতে হয়েছে। তাই আমাদের বাধ্য হয়েই একটু বেশি মূল্যে কাপড় বিক্রি করতে হচ্ছে।
আড়পাড়া বাজারের পোশাক ঘরের প্রোপাইটর নিমাই শাহা বলেন, পাকিস্তানি, আফগানি ও আবায়া কাপড়ের ক্রেতা বেশি। দাম একটু বেশি হলেও , মান ভালো থাকায় ক্রেতারা টাকার দিকে ছাইছে না। বিদেশী থ্রি পিসের চেয়ে দেশি থ্রি পিসের চাহিদা বেশি বলেও জানান তিনি।
কেকে/ এমএস