কুমিল্লার মুরাদনগরে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের চাপৈর গ্রামের দৌলতপুর-মাধবপুর সড়ক সংলগ্ন খালটি ভরাটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শেফালি বেগম নামের এক প্রভাবশালী নারীর বিরুদ্ধে। খাল ভরাট হচ্ছে তিন ফসলি কৃষি জমি থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার মাধ্যমে। তবে তার দাবি এটি সরকারি জায়গা নয়, এটি তার নিজস্ব জমি।
স্থানীয় লোকজন বলছে, এটি সরকারি খাল। একসময় প্রবহমানও ছিল। তবে অব্যাহত দখল ও দূষণে খালটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। আর দখলদকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় এ ব্যবস্থা নিচ্ছেনা সংশ্লিষ্টরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, কয়েক বছর আগেও এই খাল দিয়ে বড় বড় নৌকা চলত। জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত। কিন্তু কয়েক বছর ধরে চাপৈর গ্রামের বিভিন্ন স্থানে ধীরে ধীরে খালটি দখল করে নিচ্ছেন প্রভাবশালীরা। রাতারাতি বাড়ি ও দোকানপাট নির্মাণ করছেন। এই কাজে তাদের বাধা দিতেও সাহস পাচ্ছেনা কেউ। স্থানীয়রা আরো জানান, প্রভাবশালীরা স্থানীয় ইউনিয়ন তহসিলদার কে অর্থের বিনিমনে ম্যানেজ করেই খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন।
অভিযুক্ত দখলদার শেফালি বেগম বলেন, এই জমি আমি ক্রয় সূত্রে মালিক। আমার জমি থেকে মাটি কেটে এই সড়কটি নির্মাণ করা হয়। তাই এই জমিটি খাল মনে হচ্ছে। বর্তমানে যে খালটিতে মাটি ভরাট করছি, সেটি আমার মালিকানাধীন। আর আমাদের জমিতে যা ইচ্ছা তা-ই করতে পারি।
পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়ন ভুমি উপসহকারী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার আমাকে বলছে। আমি গিয়ে কাজটি বন্ধ করে দিয়েছি।
এ বিষয়য়ে মুরাদনগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) সাকিব হাসান খাঁন বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার সাথে কথা বলেন।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। ঠিকানা, লোকেশনসহ আমাকে দিন আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করছি। খাল ভরাট কিংবা জমির শ্রেণি পরিবর্তন করার কোন সুযোগ নেই।
কেকে/ এমএস