ঢাকার কেরানীগঞ্জে একই দিনে শিশু কর্তৃক শিশু ধর্ষণ এবং এক মাদ্রাসা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার নয়াবাজার দাড়িপাড়া গ্রামে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর ভাড়া বাড়ির পাশের পাঁচতলা একটি বাড়ি ছাদে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ১১ বছর বয়সী আরেক শিশু রবিনের বিরুদ্ধে। শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নার্সারির শিক্ষার্থী এবং অভিযুক্ত রবিন ময়মনসিংহ থেকে তার খালার ভাড়া বাড়িতে বেড়াতে এসে এ ঘটনা ঘটায়।
ভুক্তভোগী শিশুর দাদী জানিয়েছেন, গতকাল দুপুরে শূন্য বাড়িতে অভিযুক্ত রবিন শিশুটিকে একা পেয়ে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে পাশের পাঁচতলা বিল্ডিংয়ে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটি তাদের কাছে বিষয়টি খুলে বললে প্রথমে স্থানীয় এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিশুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি রয়েছে এবং অভিযুক্ত রবিনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।
এবিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সোহরাব আল হোসাইন বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে আমরা ছেলেটিকে আটক করে থানায় এনেছি। তিনি আরো বলেন, অভিযুক্ত ছেলেটিও ১১ বছরের শিশু, যেটুকু জানতে পেরেছি ভিক্টিমের সাথে অভিযুক্তের ধস্তাধস্তি হয়েছিল। এ বিষয়ে আইনি পক্রিয়া চলমান আছে।
অন্যদিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ এলাকায় ১১ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মাহাদি হাসানকে গ্রেফতার করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
সোমবার (১৭ মার্চ) সকালে হাসনাবাদ সেন্ট্রালগলির নিজ প্রতিষ্ঠান তাহযীবুল উম্মাহ হাফেজিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মাহাদি হাসান মাদারীপুরের চর মাগুরিয়া পাকদি বাস স্ট্যান্ড এলাকার আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার পুত্র। সে হাসনাবাদ হাউজিং এলাকায় একটি ভাড়া ভাড়িতে থেকে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছিল।
ভুক্তভোগীর বাবা জানান, তার ছেলেকে গত বছর হাসনাবাদ এলাকার তাহযীবুল উম্মাহ হাফেজিয়া মাদরাসায় ভর্তি হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময় তার মতের বিরুদ্ধে এ কাজ করে আসছিল শিক্ষক মাহদি। ছেলে কখনো অসুস্থ হয়ে গেলে ওষুধ খাইয়ে পুনরায় সুস্থ্য করে এ কাজে লিপ্ত হতো শিক্ষক।
সর্বশেষ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি একই ঘটনা ঘটলে পরিবারকে বিষয়টি জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। পরবর্তীতে পরিবারের লোকেরা তাকে অসুস্থ অবস্থায় মাদরাসা থেকে নিয়ে গিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসা শেষে থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালের কাগজপত্র নিয়ে থানায় এসে ছেলেটির পিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করে মাদ্রাসার পরিচালক মাহাদি হাসানকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
কেকে/এজে