নজরদারি না থাকায় শ্রীমঙ্গলে নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রি ও ব্যবহার অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন বাজারে, বিশেষ করে মুদি দোকান, কাঁচাবাজার এবং মাছের বাজারে ছোট, বড় ও মাঝারি পলিথিন ব্যাগের ছড়াছড়ি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই পলিথিনগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হাতলসহ ও হাতল ছাড়া, যা আইনত নিষিদ্ধ হলেও প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে। এভাবে পলিথিনের ব্যবহার পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য চরম বিপর্যয় ডেকে আনছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শহরের স্টেশন রোডের মেসার্স মর্ডাণ ভ্যারাইটিজ স্টোর, লোকনাথ ভ্যারাইটিজ স্টোর, সাদিয়া ভেরাইটিজ স্টোর, সোনার বাংলা রোডের পলাশ স্টোর, নতুন বাজার রোডের মেসার্স বিসমিল্লাহ স্টোরসহ হবিগঞ্জ রোডের বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন সাইজের পলিথিন ব্যাগ বিক্রি হচ্ছে। কাস্টমাররা নির্বিঘ্নে কিনছেন নিষিদ্ধ পলিথিন।
পরিবেশ অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো কার্যকর নজরদারি না থাকার কারণে পলিথিনের উৎপাদন ও বিক্রি রোধ করা যাচ্ছে না। বিশেষত, পলিথিনের ব্যবহার কমাতে পাটের ব্যাগের ব্যবহার বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না।
শ্রীমঙ্গল পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, পলিথিন মাটির উর্বরতা নষ্ট করে এবং গাছের জীবন শক্তি ক্ষয় করছে। তাই তারা সরকারের কাছে পলিথিনের উৎপাদন, বিক্রি ও ব্যবহার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, পলিথিন ব্যবহার এবং বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও কেন এসব বাজারে প্রকাশ্যে পলিথিন বিক্রি হচ্ছে, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে শিগগিরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি সবাইকে সচেতন হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে পরিবেশ রক্ষা করা যায়।
কেকে/ এমএস