নাটোরের লালপুরে প্রায় ৪৮ লাখ ৭ হাজার টাকা ব্যয়ে পাকা রাস্তা সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বেরিলাবাড়ি হাট থেকে রামপাড়া হাট পর্যন্ত ১১৫০ মিটার রাস্তার কার্পেটিং কাজে নিম্নমানের উপকরণ ও অনিয়মের অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, নতুন খোয়া ব্যবহারের পরিবর্তে পুরোনো সলিং রাস্তার ইট পুনরায় ব্যবহার করা হচ্ছে, যা রাস্তার স্থায়িত্ব কমিয়ে দেবে। এছাড়া, কার্পেটিংয়ে ২৫ মিলিমিটার থিকনেস বাধ্যতামূলক থাকলেও বিভিন্ন স্থানে তা মানা হয়নি। অনিয়ম নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম ও জুয়েল রানা বলেন, "রাস্তার কাজের মান খুবই খারাপ। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় সিলকোড দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই, শিডিউল অনুযায়ী রাস্তার কাজ হোক।"
প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, দরপত্রের মাধ্যমে নাটোরের মেসার্স খান কন্ট্রাকশন এই সংস্কারকাজের দায়িত্ব পায়। তবে সাব-ঠিকাদার হিসেবে চুক্তিভিত্তিক কাজটি নিয়েছেন সোহেল রানা। তিনি অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "আমরা ভালো মানের উপকরণ দিয়েই কাজ করছি। বরং, ইঞ্জিনিয়ার স্যার বাজেটের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত সিলকোড দিতে বলেছেন। এতে আমাদের লস হলেও আমরা কাজ করে দিচ্ছি।"
এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা প্রকৌশলী সাজেদুল ইসলাম বলেন, "আমাদের সঙ্গে ঠিকাদারের কোনো সখ্য নেই। কাজের মান ভালো হচ্ছে। তবে, এটা হাতের কাজ— কিছুটা কমবেশি হতে পারে। বিটুমিনের মান পরিদর্শনের দায়িত্ব এক্সচেঞ্জ অফিসের। যদি কোনো ত্রুটি থাকে, তাহলে পুনরায় স্প্রে করা হবে।" তিনি আরো জানান, "কাজের মান খারাপ হলে ঠিকাদার বিল পাবেন না। সড়কের স্থায়িত্ব বাড়ানোর জন্যই সিলকোড দিতে বলা হয়েছে।"
তবে প্রকৌশল দপ্তরের ব্যাখ্যা সত্ত্বেও স্থানীয়দের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তারা মনে করছেন, নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের কারণে রাস্তার স্থায়িত্ব কমে যাবে, যা অল্প সময়ের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই এলাকাবাসী যথাযথ পরিদর্শন ও ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
কেকে/এআর