ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সাড়ে চারমাসের ‘অন্তঃসত্ত্বা’ নারীকে ভুল রিপোর্ট দেওয়া অভিযুক্ত সেই চিকিৎসক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিককে জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ডা. আশরাফুন্নাহার জেরিন(৩০) ও টপ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক এনামুল হক ওয়াজিমকে(৩৩) একসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইকবাল হোসাইন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মো. ইকবাল হোসাইন জানান, ভুক্তভোগীর দেওয়া অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় অভিযুক্ত চিকিৎসক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিককে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদেরকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত অব্যাহত থাকবে।
অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাদিয়া তাসনিম মুনমুন।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি গর্ভাবস্থার নিশ্চিত হতে পারভীন (৩৫) নামে এক নারী টপ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আলট্রাসনোগ্রাফি করান। পরীক্ষার পর ডা. আশরাফুন্নাহার জেরিন নামে এক চিকিৎসক তাকে নিশ্চিত করে তিনি গর্ভবতীই হননি। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে গত ১১ মার্চ ‘নিউ প্রান্ত ডিজিটাল ল্যাব’ নামে আরেকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ফের আলট্রাসনোগ্রাফি করান ওই নারী। এতে ধরা পড়ে তিনি সাড়ে চারমাসের অন্তঃসত্ত্বা।
সম্প্রতি এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পাশাপাশি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. এরশাদুল আহমেদ বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী নারী। ওই অবস্থায় ইউএনও বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন এসিল্যান্ড ইকবাল হোসাইনকে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত চিকিৎসক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিককে জরিমানা করা হয়। ভুক্তভোগী নারীর বাড়ি গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের বর্ধনপাড়া গ্রামে। তিনি ওই এলাকার আব্দুল হোসেনের স্ত্রী।
কেকে/এজে