ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেছেন, ভারতে অতীতের মতোই আবার মুসলিম সংখ্যালঘু নির্যাতন চলছে। সংখ্যালঘু নির্যাতনে ভারত সারা বিশ্বের মধ্য নাম্বার ওয়ান খ্যাতি অর্জনের পথে হাঁটছে। ভারতের সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভয়াবহতা ভিন্ন দিকে ডাইভার্ট করার জন্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে। ভারতীয় এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকালে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত ‘বদরের শিক্ষা আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা, ইফতার মাহফিল ও বদরী সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মাওলানা মাদানী আরো বলেন, বদরের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে সকল প্রকার অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে আমাদেরকে কঠোর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।
সংগঠনের যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট লেখক গবেষক ও ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমির ড. ঈশা শাহেদী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, ইসলামী চিন্তাবিদ ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হান্নান আল হাদী, বিশিষ্ট আলেমেদীন মুফতি ইমামুদ্দীন, মাওলানা খলিলুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবুল কাশেম, মাস্টার নাসির উদ্দীন খান, ডা. শহীদুল ইসলাম, মুফতি মোস্তফা কামাল, ছাত্রনেতা ইউসুফ আহমাদ মানসুর, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মুফতি জাকির হোসেন খান, আলহাজ আলতাফ, এম এইচ মোস্তফা, হোসাইন, আলহাজ আবদুল আউয়াল, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, আলহাজ নজরুল ইসলাম খোকন, এডভোকেট মনির হোসাইন, এ আর খান, মুফতি আখতারুজ্জামান প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, ভারতে মুসলিম গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। যুদ্ধবিরতি থাকাবস্থায় ফিলিস্তিনে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ইসরায়েল কাপুরুষের মতো হামলা করছে। তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্ববিবেককে কঠোর প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলশি গ্যাবর্ডের বক্তব্য নির্জলা মিথ্যাচার। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই এ অসত্য বক্তব্য দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যারা বলে সংস্কার দরকার নাই আগে নির্বাচন হোক তারা মূলত বাংলাদেশে আবার ফ্যাসিবাদ কায়েমের স্বপ্নেই বিভোর। তিনি পরিস্কার করে বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান হয়েছে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য। আগে রাষ্ট্র সংস্কার হতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কার না হলে শহিদের রক্তের সাথে গাদ্দারি করা হবে। তিনি দেশ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে বদরের শিক্ষা কাজে লাগিয়ে পথচলার আহ্বান জানান।
সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদ, খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/ এমএস