সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রথম পর্যায়ে আগামী কাল বেলা ৩টায় এলডিপির সঙ্গে আলোচনার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনার সময়সূচি ঘোষণা করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশের বিষয়ে মতামত চেয়ে ৬ মার্চ ৩৭টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি ও ‘স্প্রেডশিট’ পাঠিয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। ১৩ মার্চের মধ্যে তাদের মতামত জানাতে অনুরোধ করা হয়েছিল। গতকাল পর্যন্ত মোট ১৫টি দল তাদের মতামত জানিয়েছে। তবে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ ১৪টি রাজনৈতিক দল এখনো তাদের পূর্ণাঙ্গ মতামত জানায়নি। তারা আরো সময় চেয়েছে।
জানা গেছে, পাঁচটি সংস্কার কমিশন বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ যে ১৬৬টি সুপারিশ করেছে সে বিষয়ে বিএনপি ও জামায়াতসহ ৩৪টি রাজনৈতিক দল-জোটের কাছে মতামত জানতে চেয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। ছক আকারে মতামত জানতে চেয়ে কমিশন গত ৬ মার্চ চিঠি দেয় দল-জোটগুলোকে। যাতে ‘টিকচিহ্ন’ দিয়ে ১২০টি প্রশ্নের বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়। মতামত জানানোর শেষ দিন ছিল গত বৃহস্পতিবার। তবে ‘টিকচিহ্ন’ দিয়ে মতামত জানাতে অনীহা প্রকাশ করছে বেশির ভাগ দল-জোট। এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, শুধু ছকে টিকচিহ্ন দিয়ে মতামত জানাতে গেলে বিভ্রান্তি সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তাই আমরা ছকের পাশাপাশি বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করে মতামত জানাব। মতামত জানাতে বিএনপি-জামায়াতের মতো বড় দলগুলোর অনীহায় ঐকমত্য কমিশনের এই উদ্যোগ কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।
এ বিষয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, স্প্রেডশিট অনেকটা বাচ্চাদের স্কুলের এমসিকিউ পদ্ধতির মতো। এই অ্যাপ্রোচটা যথাযথ মনে হয়নি। রাজনৈতিক সংকটগুলোকে এভাবে হ্যাঁ/না-এর মধ্য দিয়ে বলা মুশকিল। তারপরও আমরা কিছু মতামত দেব। আমর মনে হয় বিএনপিও দেবে। সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সরকারের জোর করার সুযোগ নেই। রাজনৈতিক দলগুলো স্বাধীনভাবেই মতামত দেবে।
তিনি আরো বলেন, কিছু প্রশ্ন আছে যে ব্যাপারে আমাদের ঐকমত্যের জায়গা আছে। কিছু ব্যাপরে মিশ্র মতামত আছে। কিছু বিষয় আছে যে বিষয়গুলোতে একমত হওয়া যাবে না। এ পরিপ্রেক্ষিতে আলাপ আলোচনার মধ্যে দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো যেখানে একমত হতে পারবে, সেগুলোর ওপরেই সিদ্ধান্ত হবে। কিছু বিষয় আছে সংবিধান সংশোধনের সঙ্গে যুক্ত, যেগুলোর জন্য আমরা বলেছি, নির্বাচন লাগবে, জনপ্রতিনিধি লাগবে, পার্লামেন্ট লাগবে। কিছু বিষয় আছে সংবিধানের বাইরে, নির্বাহী আদেশে যদি ঐকমত্য হয় তাহলে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। যে বিষয়গুলো একমত হতে পারবো না, যেগুলো অবিষ্যতের আলোচনার জন্য থাকবে।
জানা গেছে, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দল-জোটগুলোর প্রথম বৈঠকের প্রক্রিয়া নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে বিএনপিসহ কয়েকটি দলে। এই দলগুলোর নেতারা গণমাধ্যমকে বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে ৩৪টি দল-জোটের মধ্যে বিএনপি ছাড়া অবশিষ্ট ৩৩টি দল-জোট একমত হলেও সেটি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। কিন্তু, ১৫ ফেব্রুয়ারির বৈঠকে অন্যান্য ছোট ছোট দলের নেতাদের মতো করে বিএনপির প্রতিনিধিকেও সময় দেওয়া হয়েছে। ফলে দেখা গেছে, একটি ছোট্ট দল যে সময় পেয়েছে সেখানে কথা বলার, বিএনপির প্রতিনিধিও একই সময় পেয়েছেন।
এদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ নিয়েও বিএনপিতে প্রশ্ন আছে। সংলাপ কাদের সঙ্গে হবে, শুধু নিবন্ধিত দল নাকি অনিবন্ধিত দলেরও হবে। নিবন্ধিত দলগুলোর সঙ্গে হলে জামায়াত ও তরুণদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির সংলাপে আমন্ত্রণ পাওয়ার কথা নয়। বিএনপির নেতাদের কেউ কেউ মনে করেন, বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া দরকার। কারণ, অনিবন্ধিত দলের সঙ্গে সংলাপ হলে আরও অনেক দলকে আমন্ত্রণ জানাতে হয়।
কমিশন অবশ্য আগেই জানিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাথমিক মতামত পাওয়ার পর দলগুলোর সঙ্গে আলাদা আলাদা আলোচনা করা হবে। যারা ইতিমধ্যে মতামত দিয়েছেন, তাদের নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। এরপর যারা মতামত দেবেন, ক্রমান্বয়ে তাদের আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হবে। সূত্র জানায়, প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা কম। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন। সব দলের সঙ্গে আলাদা আলোচনা শেষে সব দলকে একসঙ্গে নিয়ে আরেক দফা আলোচনা হবে। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা উপস্থিত থাকবেন।
পুলিশ সংস্কার কমিশন বাদে বাকি পাঁচটি কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো ছক আকারে দলগুলোর কাছে পাঠিয়ে মতামত চাওয়া হয়েছিল। প্রতিটি সুপারিশের ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। প্রথমটি হলো সংশ্লিষ্ট সুপারিশের বিষয়ে একমত কি না। এতে তিনটি বিকল্প রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো ‘একমত’, ‘একমত নই’ এবং ‘আংশিকভাবে একমত’। এ তিনটি বিকল্পের যেকোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত জানাতে বলা হয়।
দ্বিতীয়তটি হলো প্রতিটি সুপারিশের বিষয়ে সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে। এই ক্ষেত্রে ছয়টি ঘর রয়েছে। সেগুলো হলো সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়ন-‘নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে’, ‘নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে’, ‘নির্বাচনের সময় গণভোটের মাধ্যমে’, ‘গণপরিষদের মাধ্যমে’, ‘নির্বাচনের পরে সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে’ এবং ‘গণপরিষদ ও আইনসভা হিসেবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে’। এসব ঘরের যেকোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত দিতে বলা হয়েছে। এর বাইরে প্রতিটি সুপারিশের পাশে দলগুলোর ‘মন্তব্য’ দেওয়ার একটি জায়গা রাখা হয়েছে।
সুপারিশ নিয়ে মতভেদ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণপরিষদ গঠন ও গণভোটের প্রস্তাব একবাক্যে নাকচ করে দিয়েছে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। তবে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংস্কারে কোনো আপত্তি নেই তাদের। বিষয়টি নির্বাচিত সরকার এবং সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার কথা বলছে রাজনৈতিক দলগুলো।
তারা বলছেন, সংবিধান সংস্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এতটা তাড়াহুড়োর সুযোগ নেই, এজন্য সময় আরও প্রয়োজন। এজন্য প্রয়োজন নির্বাচিত সরকার। এর বাইরে নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনসংক্রান্ত সুপারিশগুলোকে ইতিবাচকভাবেই নিয়েছে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল। অধ্যাদেশের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সংস্কারে সায় রয়েছে তাদের।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে-এ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে দেশের দুই বড় দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে। বিএনপি আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায়। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী চায় আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন।
জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতাদের সমন্বয়ে গঠিন নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যদিও তাদের প্রধান দাবি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই দেশে গণপরিষদ গঠন করে নতুন সংবিধান প্রণয়ন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যেসব সুপারিশের বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে-রাজনৈতিক ঐকমত্য ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ, দায়িত্ব ও ক্ষমতা এবং স্বার্থের দ্বন্দ্ব স্পষ্টীকরণ এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি আইন প্রণয়ন করা; একটি স্থায়ী জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনসহ সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়া। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে সীমিত করা; দুইবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের জন্য অযোগ্য করা; একই ব্যক্তি একই সঙ্গে যাতে দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা হতে না পারেন তার বিধান করা।
জাতীয় সংসদের বিষয়ে সুপারিশে বলা হয়েছে-১০০টি আসন নিয়ে সংসদের উচ্চকক্ষ সৃষ্টি করা; উচ্চকক্ষে আনুপাতিক পদ্ধতিতে আসন বণ্টন; বিরোধী দলকে সংসদের ডেপুটি স্পিকারের পদ দেওয়া; সরাসরি ভোটে ৪০০ প্রতিনিধির সমন্বয়ে সংসদের নিম্নকক্ষ গঠন। যার মধ্যে নিম্নকক্ষের ১০০ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা এবং সেগুলোতে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে সরাসরি ভোট করা; দলনিরপেক্ষ, সৎ, যোগ্য ও সুনামসম্পন্ন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিধান করা; জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষের সদস্য এবং স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বৃহত্তর নির্বাচকমণ্ডলীর ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন; জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা; নির্বাচন কমিশনকে দায়বদ্ধ করা; মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখতে মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করা ইত্যাদি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বলছে, সবার মতামতের ভিত্তিতে সংস্কার বিষয়ে আলোচনা হবে। এরপর একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা হবে। যখন যে দলের মতামত পাওয়া যাবে, সে সময় থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো প্রশ্ন থাকলে রাজনৈতিক দলগুলো কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।
কমিশন এ বিষয়ে সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো সংস্কার কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশের মধ্যে রয়েছে-সংবিধান সংস্কারসংক্রান্ত ৭০টি, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারসংক্রান্ত ২৭টি, বিচার বিভাগসংক্রান্ত ২৩টি, জনপ্রশাসনসংক্রান্ত ২৬টি এবং দুর্নীতি দমন কমিশনসংক্রান্ত ২০টি সুপারিশ।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে জানা গেছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংস্কারের জন্য নির্বাচনের আগে গণভোট, নির্বাচনের সময় গণভোট কিংবা গণপরিষদের যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেখানে জাতীয় নাগরিক পার্টি বাদে বাকি সব রাজনৈতিক দলের আপত্তি রয়েছে। তারা বলছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারের মধ্যে যেগুলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে করা যায়, তাতে তাদের কোনো আপত্তি নেই। এক্ষেত্রে গণভোট, গণপরিষদের যে নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে-তা সন্দেহের চোখে দেখছে রাজনৈতিক দলগুলো। তারা মনে করছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন আরও পেছানোর জন্যই এ ধরনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ গণমাধ্যমকে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার কমিশনের যেসব সুপারিশে একমত হবে, সেগুলোর ভিত্তিতে তৈরি হবে ‘জুলাই চার্টার’ বা জুলাই সনদ। তিনি আরো বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ব্যাপারে নাগরিকদের মতামত জানারও ব্যবস্থা করা হবে। এই সংস্কার শুধু আগামী নির্বাচনকেন্দ্রিক নয়। এ সংস্কার প্রস্তাব আগামী দিনের বাংলাদেশের সনদ।
কেকে/এআর