সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা থেকে মামুন নামে টহলরত পুলিশের এক সদস্যকে ট্রাকে করে তুলে নিয়ে যায় ডাকাত দল। পরে টহলে থাকা অন্য পুলিশ সদস্যরা ডাকাতদের ট্রাকের পিছু নিয়ে তাদের ধাওয়া দিয়ে শান্তিগঞ্জ থেকে ট্রাকটি জব্দসহ ডাকাত দলের দুই সদস্যকে আটক করে। এ সময় উপস্থিত জনতা আটককৃত ডাকাতদের গণপিটুনি দেয়।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাত ১ টার দিকে শান্তিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।
জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানাধীন শরীফপুর এলাকায় গভীর রাতে একটি মালবাহী ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে দিরাই থানার টহল পুলিশ। সন্দেহজনক মনে হলে দাঁড়িয়ে থাকার কারণ জানতে চান টহলরত পুলিশ। সদুত্তর না পাওয়ায় ট্রাকে কোনো অবৈধ পণ্য আছে কি না তা যাচাই করতে মামুন নামের এক পুলিশ সদস্য ট্রাকটির উপরে উঠেন। সাথে সাথে পুলিশকে নিয়েই চলতে শুরু করে ট্রাক। টহল গাড়ি নিয়ে পেছনে ছুটে পুলিশ। মদনপুর মোড় পাড় হয়ে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক ধরে ট্রাকটি ছুটতে থাকে সিলেটের দিকে।
এ দিকে খবর পেয়ে রাস্তায় আগে থেকেই চেকপোস্ট বসায় শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ। পুলিশকে নিয়ে আসা ট্রাকটি শান্তিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এলে সিলেট থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী কারকে ধাক্কা দিয়ে খাদে ফেলে দেয়। সৌভাগ্যক্রমে কারের যাত্রীরা তেমন আহত না হলেও, ট্রাক থেকে পালাত গিয়ে আহত হওয়া ট্রাক চালক ও তার সহকারিকে আটক করে পুলিশ। এ সময় স্থানীয়রা আটককৃত ডাকাতদের গণপিটুনি দেয়। পরে তাদের গ্রেফতার করে শান্তিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে থানা পুলিশ।
এ সময় নিশ্চিত হওয়া যায় যে, আটককৃতরা একটি ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য, ট্রাকটি ডাকাতির কাজে ব্যবহার করে তারা। এ সময় তাদের সাথে রামদাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ছিল।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শান্তিগঞ্জ থানার ওসি আকরাম আলী বলেন, 'দিরাই থানার মামুন নামের এক কনস্টেবলকে নিয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যেতে চেষ্টা করেছিল। পরে ধাওয়া করে দুই ডাকাত সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তাদের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কেকে/এআর