সোনাইমুড়ীতে দলিল লেখক শামিম আল মাহমুদ’র দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী আমেরিকান প্রবাসী আবু নাসের।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রেস ক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ভুক্তভোগী আবু নাছের ও মো. ইব্রাহিম লিখিত বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, আমি দীর্ঘ দিন যাবত আমেরিকাতে বসবাস করিয়া আসিতেছি, সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক শুরহলি গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে (সনদ নং- ৩৭১৪) শামিম আল মাহমুদের মাধ্যমে বিগত ১২ই আগস্ট ২০২৪ খ্রি. আমি সোনাইমুড়ী সাব রেজিস্ট্রি অফিসে একটি দলিল সৃজন করিয়া থাকি। উক্ত শামিম আল মাহমুদ সাব কবলা রেজিস্ট্রির জন্য ১ লক্ষ ৮০ হাজার ৫ শত টাকা নিয়ে থাকে এবং সাব কবলা দলিল না করে হেবা ঘোষনাপত্র দলিল করে দেয় তা আমাদের জানা ছিল না। রেজিস্ট্রার সাহেবকে দিতে হবে বলিয়া আরও ৫০ হাজার টাকা আমার কাছ থেকে নেয়। ১২ই আগস্ট রেজিস্ট্রিকৃত দলিল খানায় ১০ লক্ষ টাকা হেবা ঘোষণা দলিল মূলে রেজিস্ট্রি করিয়া থাকে কিন্তু সাব কবলা করে নাই।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনা জানার পর তার মোবাইল নাম্বারে কথা বলে দলিলের কপি চাইলে তাল বাহানা শুরু করে। পরে দলিলখানা আমি সংগ্রহ করার পর তার সাথে দেখা করলে সে টাকা ফেরত দিবে বলিয়া জানায়। এভাবে কিছু দিন অতিবাহিত হওয়ার পর তার মুঠোফনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে আমাকে হুমকি ধমকি দেয় এবং চাঁদা দাবি করছি বলে ভয় ভীতি দেখায়। এই ঘটনার বিষয়ে সাব রেজিস্ট্রার আনছার আহম্মদ সাহেব বরাবরে দরখাস্ত দিলে সে আমাকে টাকা দিবে দিচ্ছি বলে তাল বাহানা করে। আমার ছুটি শেষ হয়ে গেলে আমি আমেরিকাতে চলে যাই। কিছু দিন আগে দেশে এসে তাকে ফোন দিলে সে আমার কোন ফোন রিসিভ করে না। সাব রেজিস্ট্রারের কাছে গেলে তিনি জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে দরখাস্ত করার পরামর্শ প্রদান করেন এবং জেলা রেজিস্ট্রার অনুমতি প্রদান করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে আশ্বাস দেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী উপজেলার জুনদপুর গ্রামের মো. ইব্রাহিম একই দুর্নীতির স্বীকার বলেও অভিযোগ করেন। দুর্নীতির জন্য ভুক্তভোগীরা তার সনদ নবায়ন না করে বাতিলসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য জোর দাবি জানান। এই বিষয়ে আই জি আর আই আর ও দুদক কর্মকর্তা (নোয়াখালী) সাব রেজিস্ট্রার বরাবরে অনুলিপি প্রদান করেন।
কেকে/এজে