সারাদিন সিয়াম সাধনার পর ইফতারির আধা ঘণ্টা আগে থেকেই মুসল্লিরা মসজিদের বারান্দা সংলগ্ন উন্মুক্ত স্থানে সারিবদ্ধভাবে বসতে শুরু করেন। ইফতারির সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লির সংখ্যা বেড়ে যায়। প্লেটে প্লেটে সাজানো বাহারি সব ইফতারি, সেগুলো ইফতারির আগমুহুর্তে আগত মুসুল্লিদের সামনে আনন্দের সাথে পৌছে দিচ্ছে শিশু ও যুবকেরা। হয়তো অনেকে অনেককে চেনেন না, অথচ পাশাপাশি বসে ইফতার করছেন ধনী-গরিব একত্রে। সবার একটাই পরিচয় মুসলমান।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এমনই এক মুগ্ধকর আয়োজন দেখা গেলো কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়ায় নবনির্মিত স্বপ্নভূমি জামে মসজিদে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে প্রথম রমজান থেকেই এই মসজিদে দেড় শতাধিক রোজদারের জন্য ইফতারির আয়োজন করছে স্বপ্নভূমি জামে মসজিদ কর্তৃপক্ষ এবং চলবে শেষ রমজান পর্যন্ত।
এমন উদ্যোগে গ্রামের মানুষের মাঝে আলাদা আনন্দ ও ভাতৃত্ব বন্ধনের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। উপস্থিত কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, স্বপ্নভূমি জামে মসজিদে মাসব্যাপী ইফতারির এই আয়োজনে গ্রামের সকল মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ আগেই শুরু হয়ে হয়েছে। গ্রামের সকলের সাথে সকলের ভাতৃত্ব বন্ধন আরো মজবুত হচ্ছে, এখানে ধনী-গরিব সকলে একসাথে পাশাপাশি বসে প্রতিদিন ইফতারি করছি, এবারের রমজান অন্যরকম আনন্দের সাথে পার করছি বলে জানান তারা।
মসজিদ সূত্রে জানা গেছে, স্বপ্নভূমি জামে মসজিদ এর প্রতিষ্ঠাতা এম. মিলন হাসান "স্বপ্নভূমি প্রপার্টিজ লিমিটেড" এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক, তিনি তার নিজস্ব অর্থায়নে গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই মসজিদটির নির্মাণকার্য সম্পন্ন করেছেন। তার ব্যাক্তিগত উদ্যোগে এখানে মাসব্যাপী ইফতারির আয়োজন করা হয়েছে।
মসজিদের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এলাকার মধ্যে কোন মসজিদ না থাকায় এলাকার মানুষের সুবিধার্থে অল্প কিছুদিন হলো মিলন ভাই সুন্দর এই মসজিদটি নির্মান করেছে। এতে এলাকার মানুষ খুবই খুশি, কারণ এখান থেকে অন্য মসজিদ গুলো অনেক দূরে।
তিনি আরো বলেন, প্রথম রোজা থেকেই মিলন ভাইয়ের উদ্যোগে প্রতিদিন প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ এই মসজিদে একসাথে ইফতারি করছেন, সেই সাথে বাইরে থেকে মেহমান আসেন এখানে ইফতারি করতে, মহল্লার সকলে খুবই আনন্দের সাথে প্রতিদিন আমরা ইফতারি করে থাকি।
কেকে/এজে