শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে
নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের কোচিং করানো বা কোচিংয়ে বাধ্য করানো হলে
প্রতিষ্ঠানের প্রধান ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন।
মাধ্যমিক
ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন
কারিকুলাম যথাযথভাবে বাস্তবায়ন সংক্রান্ত নির্দেশনায় এ কথা বলা হয়েছে।
সময়ের
আলো পত্রিকায় এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে প্রতি বছর
অপ্রাতিষ্ঠানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক কোচিং বাণিজ্যে লেনদেন হচ্ছে ৫০ হাজার কোটি
টাকা। দেশে বর্তমানে লেখাপড়া কোচিংনির্ভর হয়ে পড়েছে। প্রথম শ্রেণি থেকে
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা এই নির্ভরতা থেকে মুক্তি পাচ্ছে
না। ভিকারুননিসা স্কুলের অষ্টম থেকে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া একজন ছাত্রী অন্তত
পাঁচজন শিক্ষকের কাছে কোচিং করছেন।
নির্দেশনায়
বলা হয়েছে, মাউশির আওতাধীন মাধ্যমিক স্তরের কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে
বিশেষ ক্লাসের নামে শিক্ষার্থীদের কোচিং করানো হচ্ছে বা কোচিংয়ে বাধ্য
করানো হচ্ছে। এছাড়া কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন কারিকুলাম বিস্তরণ ও
মূল্যায়নের সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও তা লঙ্ঘন করে সাপ্তাহিক
বা মাসিক মূল্যায়নের নামে গতানুগতিক প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে পরীক্ষা নেয়া
হচ্ছে। এতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন বিঘ্নিত হচ্ছে।
নির্দেশনায়
এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিরত রাখতে এবং নতুন কারিকুলাম
বাস্তবায়নে ইতোপূর্বে জারিকৃত নির্দেশনাসমূহ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসরণ করে
প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য নির্দেশ
দেওয়া হয়েছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানপ্রধান ব্যক্তিগতভাবে
দায়ী থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।