নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সাত বছর বয়সী শিশু মুস্তাকিন হত্যার রহস্য উন্মোচন হয়েছে। শিশুটিকে নির্মমভাবে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে দুই ঘাতক নূর মোহাম্মদ ওরফে শাহ আলম এবং তানজীল আহমেদ মোল্লা।
ঘাতকরা জবানবন্দিতে জানায়, শিশু মুস্তাকিনের পিতা হাসিম হোসেনের (২৮) সঙ্গে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি ফতুল্লার লামাপাড়ার বাসা থেকে তাকে অপহরণ করে ঘাতকরা। এরপর হত্যা করে লাশ ঢাকার কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের কাওটাইল এলাকায় ফেলে দেয়। পরে ১৮ জানুয়ারি ওই এলাকা থেকে শিশুর লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ লাশটিকে অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে একটি মামলা রুজু করে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) তারেক আল মেহেদী দুই ঘাতককে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শিশু মুস্তাকিন হত্যায় জড়িত আসামি নূর মোহাম্মদ ওরফে শাহ আলমকে গত মঙ্গলবার সকালে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার কাচিজোড়া থেকে অপর আসামি তানজিল আহমেদ মোল্লাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করে। পরবর্তীতে উভয়েই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
পুলিশের দেয়া তথ্যে জানা গেছে, ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি নিখোঁজ হয় সাত বছরের শিশু মুস্তাকিন। ঘটনার একদিন পরে থানায় একটি জিডি করেন। পরে অজ্ঞাতনামা অপহরণকারীরা শিশুটির পিতা হাসিম হোসেনের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। পরবর্তীতে ১৪ ফেব্রুয়ারি হাসিম হোসেন অপ্সাত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে ঘটনাটি তদন্ত শুরু করে।
কেকে/ এমএস