সিলেটের বিশ্বনাথে চোর সন্দেহে এ ব্যক্তিকে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয় জনতা। গণধোলাইয়ের শিকার আব্দুল আহাদ (৪০) উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের মৃত সাজিদ আলীর ছেলে। পাশাপাশি তার ঘরবাড়িও ভাঙচুর করেছে উত্তেজিত জনতা।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাতে উপজেলার গুচ্ছ গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ৫ জনকে আটক করে পুলিশ।
আটকরা হলেন- রহিমপুর গ্রামের মৃত বাবুল মিয়ার ছেলে শাহান শাহ (২৫), আতিকুর রহমানের ছেলে শফিউর রহমান (২৩), মৃত আব্দুস সালামের ছেলে ইমরান মিয়া (২৬), মৃত ধন মিয়ার ছেলে মিলাদ উদ্দিন (২৩), মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মারুফুল ইসলাম (২১)।
জানা গেছে, গত ১৫ মার্চ রহিমপুর মাইজপাড়া জামে মসজিদের ইমামের ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান কিছু জিনিস চুরি হয়। এতে স্থানীয় এলাকাবাসী আব্দুল আহাদকে সন্দেহের বশে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে খাজাঞ্চি ইউনিয়নের রাজাগঞ্জ বাজার সংলগ্ন গুচ্ছগ্রামস্থ তার ২য় স্ত্রীর বসতঘরে তাকে পেয়ে মারধর করেন ও বসতঘর ভাঙচুর করেন উত্তেজিত জনতা। পরে তাকে নিজ গ্রাম রহিমপুরে নিয়ে গিয়ে বেঁধে রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করে। এসময় তাৎক্ষনিক ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
মামলার বাদী রহিমা বেগম জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে তার স্বামীকে চোরের অপবাদ দিয়ে অমানবিক নির্যাতন ও ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। তার স্বামী ডানচোখ ও মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
বিশ্বনাথ থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী বলেন, চোর ধরার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক ৫ জনকে আটক করা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেকে/এজে