অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে আলুর ভালো ফলন হলেও হিমাগারে জায়গা সংকটের দেখা দেওয়ায় হতাশায় ভুগছেন এই উপজেলার কৃষকরা।
দিনের পর দিন আলু বোঝাই ট্রাক, লরি, ট্রলি হিমাগারের সামনে দীর্ঘ লাইন ধরে আছে কিন্তু আলু রাখতে পারছে না। নদী পথে হাসাইল, দিঘিরপাড়, কামারখাড়া ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে সেখানেও আলু নিয়ে সারিবদ্ধ ট্রলার নিয়ে কয়েকদিন ধরেই বসে আছে কৃষক। আলু নিয়ে হিমাগারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া গাড়ি পুনরায় ঘাটে আসতে দিন পাড় হয়ে যাওয়ায় ঘাটের লেবাররাও অলস সময় পাড় করছে। এতে কৃষকদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ট্রলার চালক,লেবার ও গাড়িচালক।
কৃষকরা জানান, গাড়ি না পাওয়ায় দিনের পর দিন ঘাটেই আলু নিয়ে বসে আছি। এতে করে গরমে আলুর পচন ধরে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। স্টোর মালিকরা ইচ্ছা করেই লেবার কম নিয়ে আমাদের ভোগান্তিতে ফেলতাছে।
ট্রলার চালকরা জানান, এক ক্ষেপ মাল নিয়া যদি ঘাটে বসে থাকি তাহলে যেই টাকা ইনকাম করব সেই টাকাতো এখানেই শেষ করে খালি হাতে বাড়ি যেতে হবে।
ঘাটের লেবাররা জানান, সকালে এক গাড়ি মাল ওঠালে ৩ ঘন্টা পর গাড়ি আসে। আমরা এখানে বসে বসে বেকার সময় কাটাই। আলু নামাতে না পাড়ায় গাড়ি চালকরাও আছে সমস্যায়।
এ সময় চালকরা জানায়, মাল নিয়ে স্টোরে গেলেই স্টোর মালিকরা বলে স্টোর ভরে গেছে, মাল নিয়া আইসেন না এক গাড়ি মাল নিয়া স্টোরে গেলে সেই মাল নামাইয়া আসতে আবারো রাত হয়ে যায়। সারা দিন এক গাড়ি মাল নামাইলে খরচও ওঠে না আমাদেরও তো সংসার আছে।
সিদ্ধেশ্বরী কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার ফখরুল জানান, আমাদের স্টোরে ১৩ হাজার মেট্রিকটন আলু রাখার জায়গা আছে, অলরেডি ৯ হাজার মেট্রিকটন আলু রাখা হয়েছে। আমাদের স্টোর প্রায় পরিপূর্ণ হয়েগেছে। হয়তো আর দুই-একদিন আলু ভরা যাবে।
টঙ্গীবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে উপজেলার মোট ২৮টি হিমাগারের মধ্যে ২৬টি সচল রয়েছে। তাদের তথ্য অনুযায়ী ১৯ মার্চ বুধবার পর্যন্ত ১ লক্ষ ২০ হাজার ৭ মেট্রিক টন আলু হিমাগারগুলোতে তোলা হয়েছে।
কেকে/এএম