‘থেকে একসাথে যুক্ত, রাখবো পৃথিবী পথশিশু মুক্ত’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে পথচলা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী এবং অরাজনৈতিক সংগঠন ‘কাম ফর রোড চাইল্ড’ (সি আর সি) এর উদ্যোগে শিশুদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসির করিডরে এ আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সিআরসি পরিচালিত স্কুলের উনত্রিশ জন শিক্ষার্থীর মাঝে এই ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ইবি সিআরসির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার স্কুল পরিচালক সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি ইমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, প্রচার সম্পাদক সাইফুন্নাহার লাকিসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
সিআরসি স্কুল পরিচালক সাইফুল ইসলামের বলেন, ঈদ মানে হচ্ছে আনন্দ। আমরা ‘কাম ফর রোড চাইল্ড’ এর মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ভালোবাসা ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আমরা প্রিয় মানুষদের ঈদের সালামি দেই, কিন্তু আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখান থেকে চলে যাওয়ার পর এই শিশুদের ঈদের সালামি দিতে পারি না— তাই আমাদের সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে সেই সালামিগুলো সংগ্রহ করে শিশুদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করছি। আমাদের একটাই উদ্দেশ্য—স্কুলের শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষিত করা। পাশাপাশি ঈদে অনেকে ভালো পোশাক কেনার সামর্থ্য রাখে না, তাই আমরা চেষ্টা করছি তাদেরকে ভালো পোশাক দেওয়ার। আশা করি, এভাবে দেশ ও জাতি গঠনে সিআরসি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ভূমিকা রাখবে। আমাদের সিআরসি স্কুল আগামীতে আরও ভালো ভালো কাজ করবে। শিশুরা যখন বড় হবে, তারাও আমাদের মতো এমন ভালো কাজ করবে বলে আমরা আশা রাখি।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, এটা আসলে শুধু ঈদ বস্ত্র বিতরণই নয়, এটা আমাদের পক্ষ থেকে ভালোবাসা বিতরণ। আমাদের আশেপাশে যারা সুবিধাবঞ্চিত আছে, তাদের সাথে ভালোবাসাটা বিনিময় করতে পারি—এই সামান্য চিন্তা থেকেই আমাদের এ আয়োজন। এ শিশুগুলো যখন মানুষের মতো মানুষ হবে, বড় হবে, তখন তারাও তাদের আশপাশের অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সাহায্য করবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা। ঈদটা হোক সবার জন্য আনন্দময়।
সংগঠনটির সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, আমরা ২০১৬ সাল থেকে প্রতিনিয়ত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এই ঈদ বস্ত্র বিতরণ আমরা প্রতি বছরই করে থাকি। আঞ্চলিক প্রভাবের কারণে যাদের পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটে, তাদের জন্য আমাদের একটি স্কুল রয়েছে। আমরা সেখানে তাদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। সেই শিশুদের নিয়েই আজকের এই অনুষ্ঠান। আমাদের প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ জন স্বেচ্ছাসেবী ও সদস্য রয়েছেন। তাদের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহের পর আজকের এই ঈদ উপহার বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে।
কেকে/ এমএস