কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী ও পাটোয়ার টেক বীচে পবিত্র রমজান মাসের কারণে স্বাভাবিকভাবেই পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে। এমন আলোচিত পর্যটনস্থানে পর্যটক না থাকার কারণে সমুদ্র এলাকার চারিদিকে নানান প্রকৃতির রূপ ফিরতে দেখা যাচ্ছে। সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে দেখা যাচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে লাল কাকড়া ও লক্ষ্য করার মতো ঝিনুকের ছড়াছড়ি। এছাড়াও সমুদ্র পাড়ে বেড়েছে লতাপাতাও।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সরেজমিনে ইনানী ও পাটোয়ার টেক বীচে এমন দৃশ্য লক্ষ করা যায়।
সমুদ্রের বিশালতায় বেড়েছে ছোট-বড় ঢেউয়ের মোহনীয় গর্জন। মোটকথা, রমজানের শুরু থেকে ইনানী ও পাটোয়ার টেক সমুদ্র সৈকতে পর্যটকশূন্য থাকায় প্রকৃতি সেজেছে অপরূপ সাজে। স্থানীয়রা বলছেন, মনজুড়ানো এসব সৌন্দর্য কেবল ঈদের পরে আসা পর্যটকরাই উপভোগ করতে পারবেন।
স্থানীয় এক ক্যামেরাম্যান বলেন, ‘বিকাল বেলা হলে মাত্র কয়েকজন পর্যটক বীচে দেখা যায়। কিন্তু আগের তুলনায় বীচে ও সমুদ্রে রমজানের কারণে পর্যটক নাই বললেই চলে।’
ইনানী বীচের ব্যবসায়ী মুহাম্মদ সোহেল বলেন, পর্যটক না থাকায় সৈকতে আমাদের বিচরণ খুব কম। গতকাল সমুদ্রে স্বাভাবিক ঘুরতে গিয়ে মনে হয়েছে প্রকৃতি সেজেছে তার নিজস্বরূপে। প্রকৃতির লতাপাতা, বীচে বালিয়াড়িতে লাল কাঁকড়া এবং ঝিনুকের সংখ্যা চোখে পড়ার মত । পাটোয়ার টেক সৈকত
এলাকার জেলে আব্দুস শুক্কুর বলেন, সৈকতে প্রচুর পরিমাণে ঝিনুকের খোলস ভেসে এসেছে। যেটা দেখতে বেশ দারুণ। মনে হলো প্রকৃতির সুন্দর রুপ ফিরেছে।
ইনানী বীচের সভাপতি নাসির হোসেন বলেন, রমজানের শুরু থেকে ইনানী সৈকতের পর্যটকের বিচরণ না থাকায় সৈকতের প্রকৃতির সেজেছে নতুনরূপে। লাল কাঁকড়া এবং বিভিন্ন পাখি, প্রকৃতির লতাপাতার বিচরণ বেড়ছে। দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। কেবল ঈদের পরে ইনানীতে আসা পর্যটকরাই নৈসর্গিক এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
কেকে/ এমএস