ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলার অপর নাম কুমিল্লার খাদি কাপড় যা ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক ধরে রেখেছে। তারই ধারাবাহিকতায় বছর জুড়ে জেলায় এ বছরও খাদি কাপড় তৈরির আলাদা কদর রয়েছে।
এবার ঈদে বিদেশি কাপড়ের সাথে সেই খাদি নিজস্ব স্থান দখলে রেখেছে কুমিল্লাতে। তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে মধ্য বয়সের সবার পছন্দের তালিকায় রয়েছে খাদি।
কুমিল্লার খাদি দেশজুড়ে খ্যাতি রয়েছে খাদি হাতে বোনা বিশেষ এই কাপড়ের। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় ঈদ এলেই কদর বাড়ে আভিজাত্যের পোশাক খাদির। মিহি সুতায় দৃষ্টিনন্দন, আরামদায়ক ও দাম কিছুটা কম হওয়ায় এবারও তরুণদের দেশী বিদেশীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী খাদি পাঞ্জাবি।
তরুণীসহ মধ্য বয়সীদেরও পছন্দের তালিকায় এই খাদি পোশাক। পাঞ্জাবি ছাড়াও খাদির শাড়ি, থ্রি-পিস, ফতুয়া, শার্ট ও বিছানার চাদরসহ বাহরি ডিজাইনের বিভিন্ন পোশাক রয়েছে। নামিদামি ফ্যাশন শপে খাদি কাপড় আরো বৈচিত্র্য ও আকর্ষণীয় করে বাজারজাত করা হচ্ছে।
কুমিল্লা মহানগরীর কান্দিরপাড়, লাকসাম রোড, মনোহরপুর ও রাজগঞ্জ এলাকার খাদি দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে খাদির পোশাক কেনাবেচা।
রূপান্তর ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী মামুনুর রশিদ বলেন, প্রত্যেক দোকানে শৈল্পিক ডিজাইনের রুচিশীল পোশাক চোখে পড়েছে। প্রতিটি রঙিন ও সাদা পাঞ্জাবির দাম সর্বনিম্ন ৪০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত, থ্রি-পিস ৬০০ থেকে আড়াই হাজার টাকা এবং শর্ট ফতুয়া ৩৫০ থেকে ১২০০ টাকা, শাড়ি ৬০০ থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে খাদি কাপড়ের মধ্যে হাতে নকশা করা পাঞ্জাবির দাম একটু বেশি। এ ছাড়া বিছানা চাদর ও গায়ের চাদরসহ বিভিন্ন পোশাকের চাহিদাও রয়েছে। প্রতি পিছ বিছানার চাদর বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা এবং নকশি কাঁথা ১৮০০ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। নতুন সংযোজনের মধ্যে রয়েছে খাদির বেডশীট। প্রত্যেক দোকানে শৈল্পিক ডিজাইনের রুচিশীল পোশাক চোখে পড়েছে।
কেকে/এজে