গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও ভারতে মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বাদ জোহর রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিন ও গাজায় বছরের পর বছর ধরে যে অমানবিক নির্মমতা চলছে, তা মানবতার জন্য এক কলঙ্কময় অধ্যায়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান এই হামলায় ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। গত দুই দিনে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যার অধিকাংশই নারী ও শিশু। এই বর্বরতা সহ্য করা যায় না। নেতারা জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ওআইসি ও আরব লীগসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
বিক্ষোভ ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম।
প্রধান বক্তা মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, ইউরোপ, আমেরিকা ও ইসরায়েলে কি কোনো বিবেকবান মানুষ নেই? মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানরা কি সবাই অন্ধ ও বধির? ইসরায়েলের এ ধরনের গণহত্যার পরেও কি বিশ্বে তাদের থামানোর কেউ নেই? তাহলে এই সভ্যতা ও এত সংস্থার কী প্রয়োজন? যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল একতরফাভাবে মুসলমানদের রক্তের নেশায় মেতে উঠেছে। এই বর্বরতা রুখতে বিশ্বকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
সভাপতি শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, ইসরায়েলি বর্বরতা বন্ধে বাংলাদেশ সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। জাতিসংঘসহ বাংলাদেশ যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য, সবগুলোতে জরুরি মিটিং আহ্বান করে গণহত্যা বন্ধে প্রস্তাব পেশ করতে হবে। আমাদের যতটুকু সামর্থ্য আছে, তা নিয়েই জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে, অন্যথায় ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।
নেতারা বলেন, ভারতে উগ্রবাদী মোদি সরকারের নির্দেশে হোলি উৎসবের নামে মুসলমানদের ওপর চরম জুলুম-নির্যাতন চালানো হচ্ছে। মুসলমানদের ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়া হচ্ছে, মসজিদ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করায় অনেক মুসলমানকে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। যদি ভারত সরকার এ নিপীড়ন বন্ধ না করে, তাহলে বিশ্বব্যাপী ভারতের পণ্য বর্জন ও ব্যাপক প্রতিবাদ কর্মসূচি গড়ে তোলা হবে।
পুরানা পল্টন মোড় থেকে শুরু হওয়া বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বিজয়নগর পানির ট্রাঙ্কি হয়ে পুনরায় পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা ইসরায়েলি ও ভারতীয় পতাকা এবং নরেন্দ্র মোদির কুশপুতুলে অগ্নিসংযোগ করে। এতে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে দোয়া ও মুনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
কেকে/এএম