ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হত্যাকাণ্ড ও ভারতে মুসলিম হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২১ মার্চ) বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বন চত্বরে গিয়ে সমাবেশ করে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার; বিশ্বের মুসলিম, এক হও লড়াই করো; ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন; অ্যাকশান টু অ্যাকশান, ডাইরেক্ট অ্যাকশান; বদরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার; উহুদের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার; জিহাদ জিহাদ জিহাদ চাই, জিহাদ করে বাঁচতে চাই; ফিলিস্তিনের কারণে, ভয় করি না মরণে; বয়কট বয়কট, ইসরায়েল বয়কট; রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায় ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
বক্তারা বলেন, ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর আক্রমণে হাজার হাজার ফিলিস্তিনী প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছেন। যারা মানবতার কথা বলে তারাই আজ বর্বরতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। পশ্চিমা মানবতাবাদীরা সব জায়গায় মানবতার ফাঁকা বুলি আওড়ান। অথচ ফিলিস্তিনের বেলায় তাদের মানবতা কাজ করে না। ফিলিস্তিনিদের এই ন্যায্য অধিকারের বিষয়ে তারা কোন মন্তব্য করছে না।
অবিলম্বে ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান ইসরায়েলী বর্বর হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। এই নির্মম গণহত্যা বন্ধ করতে জাতিসংঘসহ বিশ্ব নেতাদের অবশ্যই যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। বক্তারা আরো বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশেও ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাইবোনদের নির্যাতন নিপীড়ন ও হত্যা করা হচ্ছে।
এই ক্রান্তিলগ্নে আমরা সুন্দরভাবে চলাচল করতে পারলেও আমাদের ফিলিস্তিনের ভাইবোনেরা সাহরি এবং ইফতারটাও স্বাচ্ছন্দ্যে করতে পারছে না৷ তাদের ঘুম ভাঙে বোমার আওয়াজে। বিশ্ব মুসলিম নেতাদের বলতে চাই, আমরা সাধারণ মুসলিমরা প্রস্তুত আছি, আপনারা ঐক্যবদ্ধ হন এবং ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ান।
এই আক্রমণ অবশ্যই ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেই করা হয়েছে। জানুয়ারির যুদ্ধবিরতির চুক্তিটি ছিল প্রতারণার অংশ। সেই চুক্তি ফিলিস্তিনিদের যুদ্ধের গতি দমিয়ে দিয়েছে। বিশ্ব মুসলমানদের আহ্বান জানাই, আসুন আমরা এক হই, ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াই।
কেকে/এএস