মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে একটি প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজ পাওয়া নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় পালটা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের সুদক্ষিরা (চন্দনপুর) গ্রামে ব্লাজন ট্রিমস্ অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড ফ্যাক্টরির পাশে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ব্লাজন ফ্যাক্টরির ঠিকাদার ও বিএনপি নেতা মো. ফারুক হোসেনের পক্ষ থেকে থানায় চাঁদাবাজি ও মারামারির মামলা করেন তার খালাতো ভাই মনির হোসেন । এর আগে একই ঘটনায় জামির্ত্তা ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাবেক সভাপতি হাজী শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মারামারির মামলা করেন।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্লাজন ফ্যাক্টরির ঠিকাদার ও বিএনপি নেতা মো. ফারুক হোসেন ফ্যাক্টরির পিছনে বাউন্ডারি নির্মাণের কাজ পায়। এদিকে ওই কাজ হাতিয়ে নিতে স্থানীয় বিএনপি নেতা হাজী শহিদুল ইসলামের লোকজন বাঁধা দেয়। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ৮ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ফারুকের বড় ভাই আব্দুল খালেক (৪৫) ও শহিদুলের ছোট ভাই হারুনকে (৫৬) গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় দুই পক্ষই পালটা মামলা করেন। দুই মামলায় ৩৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মেসার্স এফআরএ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ও বিএনপি নেতা মো. ফারুক হোসেন বলেন, ব্লাজন ট্রিমস অ্যান্ড প্যাকেজিং ফ্যাক্টরি সাথে চুক্তি অনুযায়ী লোকজন দিয়ে বাউন্ডারি নির্মাণের কাজ শুরু করি। কাজ পাওয়ার পর শহিদুল ইসলাম চাঁদা দাবি করে কাজে বাঁধা দেয়। এতে বেশ কিছুদিন নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকে। পরে শহিদুল ইসলাম ও স্থানীয় মোখলেছকে ১৫ হাজার টাকা করে চাঁদা দিই। কয়েকদিন পর আবারও মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা দাবি করে ও নির্মানকাজটি হাতিয়ে নিতে আমার লোকজনের উপর হামলা চালায়। হামলায় আমার ৬ জন লোক আহত হন।
এদিকে হাজী শহিদুল ইসলাম ফারুকের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার ছোট ভাই হারুন গরুর ঘাস কাটতে গেলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ফারুকের লোকজন তাকে কুপিয়ে আহত করে। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ব্লাজন ট্রিমস অ্যান্ড প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠানের জিএম (অ্যাডমিন) ইমরান কবির বলেন, নিয়ম অনুযায়ী আমরা মেসার্স এফআরএ ট্রেডার্সকে কাজ দিয়েছি। ঠিকাদার ফারুক হোসেনের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছেন।
সিঙ্গাইর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জেওএম তৌফিক আজম বলেন, ব্লাজন ফ্যাক্টরির কাজ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়। এ ঘটনায় দুই পক্ষই থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেকে/এএম