যশোরের কেশবপুরে খ্রিস্টান মিশনের হোস্টেলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক স্কুলছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার সঠিক তদন্ত ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে শহরের শহিদ বীরমুক্তিযোদ্ধা দৌলত বিশ্বাস চত্বরে উপজেলা দলিত পরিষদের আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, গত ১৪ মার্চ কেশবপুর সাহাপাড়ার খ্রিস্টান মিশনে রাজেরুং ত্রিপুরা (১৫) নামে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী রহস্যজনকভাবে মারা যায়। তারা অভিযোগ করেন, ওই ছাত্রীকে নির্যাতনের মাধ্যমে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। ফলে এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান তারা।
বক্তারা আরো বলেন, দেশে নারী ও শিশুদের ওপর নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা বাড়ছে, যা বন্ধ করতে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা দোষীদের গ্রেফতার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
উপজেলা দলিত পরিষদের সভাপতি সুজন দাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন পরিষদের সম্পাদক মিলন দাস, সহসম্পাদক শংকর দাস, উপজেলা খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি অসীম সরকার ও পরিত্রাণের প্রকল্প সমন্বয়কারী যোসেফ সরকার।
এ ছাড়া সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মিরাজুল ইসলাম ও মাসফি চৌধুরী অরিন, সাংবাদিক শামীম আখতার মুকুল, নারী নেত্রী সুফিয়া পারভিন শিখা এবং সমাজকর্মী তপন বালা।
এর আগে, ১৮ মার্চ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের উদ্যোগে ওই খ্রিস্টান মিশনারি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করা হয়। সে সময় তারাও রাজেরুং ত্রিপুরার মৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবি জানান। বিক্ষোভ চলাকালে মিশন থেকে তিন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ছাত্রী—রেবিকা ত্রিপুরা, জেসিন্তা ত্রিপুরা ও স্বস্তিকা ত্রিপুরাকে পুলিশের মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গত ১৪ মার্চ রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রাজেরুং ত্রিপুরার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রাজেরুং কেশবপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি বান্দরবানের থানচি উপজেলার কালুপাড়া গ্রামে। তার বাবা রমেশ ত্রিপুরা। পড়াশোনার জন্য তিনি কেশবপুর শহরের সাহাপাড়ার খ্রিস্টান মিশনে অবস্থান করছিলেন।
কেকে/এএম