জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ নড়াইল জেলা শাখায় মুফতী তালহা ইসলামকে সভাপতি ও মুফতী শহীদুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়।
আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) বুধবার বেলা ৩ টায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ নড়াইল জেলার উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
জেলার শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন মুফতী তালহা ইসলাম। মাওলানা সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা আনোয়ারুল করীম যশোরী সাহেব।
প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্মমহাসচিব যুগ্মমহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, কেন্দ্রীয় যুগ্মমহাসচিব মুফতী মুনীর হোসাইন কাসেমী।
আরো বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মুফতী জাকির হোসাইন কাসেমী, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুফতী জাবের কাসেমী, মানিকগঞ্জ জেলা জমিয়তের সভাপতি মুফতী শামসুল আরেফীন সাদী, যুব জমিয়তের সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতি সাইফুদ্দিন ইউসুফ ফাহীম, কেন্দ্রীয় ছাত্র জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক কাউসার আহমাদ ও জেলার অন্তর্গত উপজেলাগুলোর প্রতিনিধি।
সভায় মুফতী তালহা শহীদুল ইসলামকে সভাপতি, মুফতী শহীদুল ইসলামকে (কালিয়া) সাধারণ সম্পাদক ও মো. সোহেল সরদারকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৪১ সদস্যবিশিষ্ট নড়াইল জেলা জমিয়তের কমিটি গঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আনোয়ারুল করীম যশোরী সাহেব বলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল। জমিয়তে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করে এই ভারতীয় উপমহাদেশেকে স্বাধীন করেছে। ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদীদেরকে এই উপমহাদেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পরেও পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানে জমিয়ত নেতৃবৃন্দ সর্বপ্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করে। এমনকি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেও জমিয়ত দলীয় প্যাডে সকলকে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণের আহ্বান জানায় এবং জমিয়ত নেতৃবৃন্দ সশস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, জমিয়ত এই উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক সংগঠন। দারুল উলুম দেওবন্দের মুরুব্বিরা ইংরেজদেরকে এই উপমহাদেশ থেকে বিতাড়িত করতে এই প্লাটফর্মটি তৈরি করে। মুরব্বিদের এই আমানত ১০৫ বছর ধরে চলে আসছে। শাইখুল হিন্দ, শাইখুল ইসলামদের এই আমানত সবসময় দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। ইসলাম ও মুসলমানদের অধিকার আদায়ে কাজ করছে। জুলুম অত্যাচার ও স্বৈরাচারীদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে পথ চলছে।
তিনি আরো বলেন, নড়াইলের মাটি ও মানুষের প্রিয় মানুষ ছিলেন মাওলানা শহিদুল ইসলাম (রহ.)। তিনি পুরো জীবন মানুষের সেবা করে গিয়েছেন। শুধু বাংলাদেশের মানুষেরই সেবা করেন নি, আফ্রিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষের সেবা করেছিলেন। সেবার ময়দানে তিনি একজন প্রবাদ পুরুষ। সেবার মাধ্যমে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন। আমরা তার যোগ্য উত্তরসূরী মাওলানা তালহা শহিদুল ইসলামকে জমিয়ত থেকে মহান জাতীয় সংসদে দেখতে চাই। আপনারা নড়াইলবাসী মাওলানা তালহা শহিদুল ইসলামকে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত পৌঁছিয়ে নড়াইলবাসীর খেদমতের সুযোগ দিবেন বলে আমরা আশাবাদী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া বলেন, জমিয়তের সাদা-কালো পতাকা হচ্ছে রাসূল (সা.)-এর পতাকা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন যুদ্ধে এই সাদা-কালো উকাব নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। মক্কা বিজয়ের সময় রাসূল (সা.) এই পতাকা নিয়ে মক্কা বিজয় করেন। তাছাড়া জমিয়তের প্রতীক হচ্ছে খেজুর গাছ। কুরআন ও হাদিসে খেজুর গাছের কথা পাওয়া যায়। আগামী নির্বাচনে নড়াইল থেকে মাওলানা তালহা শহিদুল ইসলামকে খেজুর গাছ প্রতীকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান তিনি।
কেকে/এজে