ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, আগামীর দেশ বিনির্মাণে ইসলামি আদর্শ বাস্তবায়ন করে সে আলোকে দেশ পরিচালনা করতে হবে। বিগত ৫৩ বছরের আলোকে বলা যায়- এখন ইসলামী আদর্শ বাস্তবায়নই এদেশের সকল সঙ্কটের একমাত্র সমাধান।
আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে পটুয়াখালীর ঐতিহাসিক বাউফল পাবলিক মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত বিশাল গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামীর বাংলা হবে ইসলামের বাংলা, ইসলামপন্থিদের বাংলা, আলেম-ওলামাদের বাংলা। ইসলামী নীতি ও আদর্শের বাইরে ডেমোক্রেসি, সেক্যুলারিজম, জাতীয়তাবাদ, লেলিন, কালমার্কস-এর আদর্শ আমরা মানবো না। তিনি আগামী নির্বাচনে শান্তির প্রতীক হাতপাখাকে বিজয় করে জনগণের শান্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, হাতপাখা বিজয় হলে জনগণের মুক্তি হবে, বৈষম্য দূর হবে, শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের অর্জিত বিজয় রক্ষা দেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, সকল বৈষম্যের মোকাবেলা ও ভোটাধিকার রক্ষার্থে এবং পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের দাবীসহ ৯ দফা দাবির বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামী আন্দোলন বাউফল উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন দলের বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মাওলানা মো. সিরাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, পটুয়াখালী জেলা সভাপতি মুফতি মো. হাবিবুর রহমান, হাওলাদার মো. সেলিম, মাওলানা মুহা. কাজী গোলাম সরোয়ার, মাওলানা মুহা. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, হাতপাখাকে বিজয়ী করলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। হাতপাখা সাম্যের প্রতীক। হাতপাখা সবার প্রতীক। মুসলমানরা হাতপাখা ব্যবহার করে, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানসহ সকল জাতি ধর্ম ও বর্নের মানুষ হাতপাখা ব্যবহার করে। হাতপাখাকে বিজয় করলে এদেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে।
জনগণকে ইঙ্গিত করে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য, সজাগ থাকতে হবে। দুই ঘন্টা দাওয়াতি কাজ করতে হবে। ইসকন বাংলাদেশের মধ্যে নতুন সন্ত্রাবাদ সৃষ্টি করতে চায়। তারা ভিন্ন আঙ্গিকে এ দেশকে অস্থির করতে চায়। তোমরা সাবধান হয়ে যাও। বাংলাদেশের মানুষ ঘুমিয়ে যায় নাই। অস্থিরতা তৈরি করতে চাইলে বাংলাদেশের মানুষ তোমাদের ঝাড়ুপেটা করে এদেশ ছাড়া করবে। বাংলাদেশ হচ্ছে আলেম ওলামাদের।
ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির আরো বলেন, ’৭২-এর সংবিধানে চার মুলনীতির কথা থাকলেও ৭২-এ যে সংবিধানে রচিত হয়েছিল তাতে স্বাধীনতার চেতনা ছিল না। গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার বিল্পবের মাধ্যমে একজন স্বৈরশাসকের হাত থেকে দেশ রক্ষা পেয়েছে।
তিনি অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের কাছে দাবি জানান, শুধু নেতা নয়, নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন চাই। দেশ থেকে সকল ষড়যন্ত্র, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস দূর করতে হবে। বিগত হাসিনার সরকারের আমলে দেশে কোন ভোটারধিকার ছিল না। জনগণ যাতে ভোট দিতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার সাথে ইসলামী আন্দোলনে কর্মীদের অবদান সবচেয়ে বেশি ছিল। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বড় মাপের নেতাদের কোন অবদান ছিল না।
তিনি আরো বলেন, দেশকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে হলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দিতে আহবান জানান। ইসলামী আইন ছাড়া দেশে কেহ শান্তি দিতে পারবে না।
কেকে/এজে