কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য কুমিল্লা ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যয়ের ৫০ ভাগ ডিসকাউন্টের সুবিধা ঘোষণা করেন ইস্টার্ন মেডিকেল হাসপাতালে চেয়ারম্যান ডা. শাহ মোহাম্মদ সেলিম।
শুক্রবার (২১ মার্চ) কুমিল্লার আলেখারচর বিশ্বরোড সংলগ্ন মায়ামি রেস্টুরেন্টে বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন ইতফার ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি চিকিৎসা সুবিধা ঘোষণা করেন।
ডা. শাহ মোহাম্মদ সেলিম বলেন, তোমাদের জন্য একটা স্পেশাল কার্ড করে দেওয়া হবে। কার্ডের মাধ্যমে ইস্টার্ন মেডিকেল হাসপাতালে যে কোনো চিকিৎসা সেবার ব্যয়ের ডিসকাউন্টের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। এ সুবিধা শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, বরং এ কার্ড দেখিয়ে তাদের পরিবারও সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সবকিছুর ঊর্ধ্বে থেকে একজন ছাত্র হিসেবে নিজেকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কুমিল্লায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল। শুধু পড়াশোনায় সীমাবদ্ধ না থেকে, তারা দেশের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত এবং ভবিষ্যতেও দেশের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন এর সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দসহ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আজকের এই ইফতার মাহফিল আমাদের ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করার একটি মাধ্যম। আমি এই স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানাই, যারা কঠোর পরিশ্রম করে এই আয়োজন সফল করেছে। পাশাপাশি, আমি আহ্বান জানাবো এই সংগঠন যেন শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ও ব্যক্তিগত উন্নয়নে আরও বেশি ভূমিকা রাখে।
সভাপতির বক্তব্যে হাসিবুল ইসলাম সবুজ বলেন, আজকের এই পবিত্র মাহে রমজানের ইফতার অনুষ্ঠানে আপনাদের উপস্থিতি আমাদের সংগঠনের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের বিষয়। আমরা একত্রিত হয়েছি শুধুমাত্র ইফতার গ্রহণের জন্য নয়, বরং ভ্রাতৃত্ব ও সহমর্মিতার বন্ধন আরও দৃঢ় করার জন্য। রমজান আমাদের সংযম, সহানুভূতি ও আত্মশুদ্ধির শিক্ষা দেয়। এই শিক্ষা শুধু রমজান মাসের জন্য নয়, বরং আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিফলিত হওয়া উচিত। আমরা যেন এই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে সমাজে শান্তি, সম্প্রীতি ও কল্যাণ বয়ে আনতে পারি। আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সম্মানিত অতিথিদের প্রতি, যারা সময় বের করে আমাদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। আল্লাহ আমাদের রোজা, ইবাদত ও দান-সদকা কবুল করুন এবং আমাদের সংগঠনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তাওফিক দিন।
কেকে/এজে