বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার সময় প্রায় করা হতো উত্যাক্ত। সামাজিকভাবে বিচার চাওয়া হলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে অভিযুক্তরা। রাতে প্রাকৃতিক কাজে ঘরের বাহিরে এলে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে তারা। এতে লজ্জায় অপমানে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্ঠা করে ১০ শ্রেণীর এক ছাত্রী। মুমুর্ষ অবস্থায় সেই ছাত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলার চরকিং ইউনিয়নে।
এই ঘটনায় শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে ভোক্তভোগীর পিতা বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তাতে আসামী করা হয় উপজেলার নলচিরা ইউনিয়নের দাসের হাট গ্রামের মহি উদ্দিনের ছেলে মো: লাবলু, সাহাব উদ্দিনের ছেলে মো: হাসান ও একই এলাকার মঞ্জু মাঝির ছেলে রুবেল উদ্দিনকে।
থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগে জানাযায়, বৃহস্পতিবার রাতে প্রকৃতিক কাজে সাড়া দিতে ভুক্তভোগী ঘরের বাহিরে এলে তিনজনের একটি দল তাকে জাপড়িয়ে ধরে। তারা তাকে বাড়ির পাশে রাস্তায় রাখা অটোরিক্সায় অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা করে। এতে মেয়েটির চিৎকারে আসে পাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় পালিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিবেশিরা অভিযুক্ত তিনজনকে দেখতে পায়।
এই ঘটনায় লজ্জায়, অপমানে রাতে ঘরে থাকা কিটনাষক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্ঠা করে মেয়েটি। পরে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে গত কয়েকদিন মেয়েটি বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার সময় এই তিনজনের বিরুদ্ধে তাকে উত্যাক্ত করা অভিযোগ করেন। এই বিষয়ে এলাকার লোকজনকে জানানো হয়। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় সেই বখাটেরা।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগীর পিতা জানান, মেয়েকে উত্যাক্ত করার বিষয়ে সামাজিক ভাবে কয়েকজনকে বলা হয়েছে। তাতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে রাতে মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যেতে চেয়েছে। অভিযুক্ত তিনজন এলাকায় অনেক অপকর্মের সাথে জড়িত। তিনি আরো জানান, তার মেয়ে খুবই অসুস্থ্য। সে মানসিক ভাবেও ভেঙ্গে পড়েছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, হসপিটালে গিয়ে মেয়েটিকে দেখে এসেছেন। সে মানসিক ট্রমার মধ্যে আছেন। অভিযুক্ত ছেলে গুলো এলাকায় বখাটে। মেয়ের বাবার সাথে কথা হয়েছে। সে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। আমরা সার্বক্ষনিক মেয়েটির পরিবারের সাথে আছি।
হাতিয়া থানা পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম বলেন, ভোক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর পিতা থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে। আমরা হাসপাতালে মেয়ের সাথে কথা বলেছি। তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেকে/এআর