কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে আওয়ামী লীগ নেতা গোপাল ঘোষের হামলায় গুরুতর আহত একটি মুসলিম পরিবারের সদস্যরা। দুই পাশে হিন্দু পরিবারের বসবাস থাকায় এই অত্যাচার মুসলিম পরিবারের ওপর। তাদের কাছে বাড়ি বিক্রি করে অন্য জায়গায় চলে যেতেই এই নির্যাতন দাবি ভুক্তভোগীদের। নিজেরা মূর্তি ভেঙ্গে তাদেরকে (মুসলিম) মামলা দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে হিন্দু পরিবারের বিরুদ্ধে। মুসলিম পরিবারের তিনজন চিকিৎসা নিয়ে এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাড়াইল থানায় মামলা নিলেও প্রভাবশালীদের চাপে পুলিশ আসামি ধরেনি। গোপাল ঘোষের দুই ছেলে জামিনে বের হয়ে আবারো বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
মামলার বাদী সাজ্জাদ হোসেন তার স্ত্রী নুরি বেগম ও মা সখিনা বেগম স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে আসলে মামলার এক নাম্বার আসামী যুবলীগ নেতা গোপাল ঘোষ তার ছেলে অনেক অমিত ও সুমিত এবং ভাই বাবুল ঘোষ দ্বিতীয়বার হামলা চালায়। মুসলিম পরিবারটির সম্পদ আত্মসাৎ করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভূমিদূস্য ১নং আসামী যুবলীগের-সাচাইল ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক গোপাল ঘোষ তার ছেলে ২নং আসামী নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সক্রিয় ক্যাডার অনিক ঘোষ ।
ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে গোপাল ঘোষ ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আমার এবং আমার ভাইয়ের জমি বেদখল করার জন্য পায়তারা করছিল। তারই পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে আমার স্ত্রী কাজের জন্য বাড়ির পেছনে যায়। তখন বিবাদী আমার স্ত্রীকে দেখা মাত্র অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং কু-ইঙ্গিত করতে থাকে। তখন আমি গালিগালাজের শব্দ পেয়ে এগিয়ে যাই পরে গালিগালাজ করার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে গোপাল ঘোষের ছেলে আমার ওপরও চড়াও হয়ে উঠে, এক পর্যায়ে আমাকেও গালিগালাজ করতে থাকে।
আমি গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তারা অন্যান্য সবাইকে ডাক চিৎকার করে নিয়ে আসে এবং সকল বিবাদীগন আমার স্ত্রীকে ও মাকে খুন করে লাশ মাটিতে পুতে ফেলবে বলে হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে আসামীদের ভয়ে আমি আমার মা-সহ বাড়ির উঠানে গেলে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র, রামদা, লোহার রড, বাশের লাঠি ইত্যাদি অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। গোপাল ঘোষের হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যে আমার মাথা লক্ষ্য করে কুপ মারলে ওই কোপ আমি ডান হাত দিয়ে ফিরাতে গেলে আমার ডান হাতের তালুতে লেগে হাড় কাটা গুরুতর রক্তাক্ত হয়। সাথে সাথে আমি মাটিতে গেলে পুনরায় অনিলের হাতে থাকা রামদা দিয়ে আমাকে খুন করার উদেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে কোপ মারলে আমি হামাগুড়ি দিয়ে কিছুটা সরে পড়ায় ওই কোপ আমার ডান হাতের বাহুতে লেগে রক্তাক্ত জখম হয়।
তখন আমার স্ত্রী ও মা সন্ত্রাসীদের কবল থেকে আমাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসলে রামদা দিয়ে আমার মাকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে কোপ মারলে ওই কোপ আমার মায়ের ডান হাতের বাহুতে লেগে মারাত্মক জখম হয়। সাথে সাথে আমার মা মাটিতে লুটে পরে পুনরায় অনিল আমার মায়ের মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য আমার মায়ের মাথা লক্ষ্য করে কোপ মারলে কোপ আমার মায়ের বাম বাহুতে লেগে জখম হয়। আমার স্ত্রী মাকে এবং আমাকে বাচানোর জন্য এগিয়ে আসলে তাদের হাতে থাকা ধারালো দা দিয়া আমার স্ত্রীকে খুন করার উদেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে কোপ মারলে ওই কোপ আমার স্ত্রীর ওপরের ঠোঁটে লাগে মারাত্মক জখম হয়।
তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির রহমান বলেন, মামলা হয়েছে গোপাল ঘোষকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
কেকে/এজে