গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক ৮টার দিকে পাবনা জেলার আটঘরিয়া থানার নাদুড়িয়া গ্রামে এক নারী গণধর্ষণের শিকার হন। পরে ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে পাবনা জেলার আটঘরিয়া থানায় ৫ জনকে আসাসি করে একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী ছিলেন। দাম্পত্য জীবনে মনোমালিন্য হওয়ার কারণে তালাকের মাধ্যমে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। তালাক দেওয়ার পরেও আমিরুল ইসলাম ওই নারীকে বিভিন্ন সময় নানাভাবে কুপ্রস্তাব এবং পুনরায় বিয়ের প্রলোভন দিতে থাকে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি তারিখ রাত আনুমানিক ৮টার দিকে আমিরুল ইসলাম ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে এবং সেখানে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উপস্থিত থাকা আমিরুলসহ তার আরো ৪ বন্ধু মিলে ওই নারীকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে র্যাব-১২, সিপিসি-২ পাবনার কোম্পানি কমান্ডারের নেতৃত্বে র্যাবের আভিযানিক দল ২২ মার্চ রাত ১২টার দিকে পাবনা জেলার আটঘরিয়া থানাধীন নাদুরিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মামলার এজাহারনামীয় ১নং আসামি মো. আমিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার আমিরুল আটঘরিয়া উপজেলার নাদুরিয়া গ্রামের মাসুদ রানার ছেলে। গণধর্ষণের এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
কেকে/এএম